আগরতলা, ২৫ আগস্ট।। বামুটিয়া ব্লকের অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে রেগার কাজ হচ্ছে। সরকারের নিয়ম নির্দেশিকার কোন ধরনের তুয়াক্কা না করে প্রতিদিন রেগার কাজের নামে চলছে হরির লুট। এমনই অভিযোগ উঠে এসেছে এলাকা থেকে। সরকারি অর্থ এইভাবে আদ্যা শ্রাদ্ধ করার ঘটনায় হতবাক এলাকার মানুষ। বামুটিয়া ব্লকের অন্তর্গত উত্তর বামুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিগত প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন যাবত বিভিন্ন স্থানে রেগার কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজগুলোতে প্রায় ১০০ জনের বেশি শ্রমিক যুক্ত রয়েছেন। প্রতিদিন রেগার কাজের নামে চলছে ছেলে খেলা। নিয়ম অনুযায়ী যে সময় পর্যন্ত কাজ করার কথা শ্রমিকদের তার কাছে ধারেও কাজ হচ্ছে না। আট ঘন্টা কাজের বদলে প্রতিদিন ঠিক ভাবে এক ঘন্টাও কাজ করছে না শ্রমিকরা। এমনই অভিযোগ। রেগার কাজের দায়িত্বে থাকা জিআরএস কাজের তদারকির ক্ষেত্রে কোন ধরনের ভূমিকা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। অন্যদিকে যে সমস্ত লোকদের বেআইনিভাবে রেগার মুজুর পরিবর্তে কাজ দেখাশোনা করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তারাও দিনভর গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে রেগার শ্রমিকরা ঘন্টাখানেক নিজ ইচ্ছা মত কাজ করার পর বাড়ি মুখি হচ্ছেন। ফলে কাজের আউটপুট আসছে না সঠিকভাবে। এই কাজগুলোতে দেখা যাচ্ছে যেখানে পুরুষদের নামে কাজ বরাদ্দ হয়েছে সে জায়গায় বাড়ির মহিলারা কাজে আসছেন। ফলে কাজে মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা বেশি হয়ে যাচ্ছে। মাটি কাটার ক্ষেত্রে বা ভারী কাজের ক্ষেত্রে কাজের আউটপুট নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন জমির মালিকরা। সকাল ৯ টায় কাজ শুরু হলে এগারোটা বাজার আগেই সমস্ত শ্রমিক ঘরমুখী হয়ে যান। এই ধরনের অবস্থায় শ্রমিকদের একাউন্টে গাদা গাদা টাকা ঢুকিয়েও কাজের কাজ আখেরে কিছুই হচ্ছে না। স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের প্রশ্ন রেগার কাজগুলো ব্লকের বিডিও, জিআরএস এবং অন্যান্য আধিকারিকরা নিয়মিত তদারকি করছেননা কেন? এইভাবে নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে রেগার কাজ চলতে থাকলে আখেরে জনগণের অর্থ অপচয় হচ্ছে। সুতরাং জনগণের দাবি শ্রমিকরা যাতে সঠিক সময় পর্যন্ত কাজ করে এবং আউটপুট আসে সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে অতিসত্বর কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।
2023-08-25