এগিয়ে চলো সঙ্ঘ-১ (নিমা) রামকৃষ্ণ ক্লাব-০
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ আগস্ট।।রবিবার উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে উত্তেজনার বারুদে ঠাসা ফাইনালে ম্যাচে এগিয়ে চলো সঙ্ঘ ১-০ গোলে রামকৃষ্ণ ক্লাবকে পরাজিত করে ফের শিল্ড হাতে তুললেন বুদ্ধ দেববর্মা-রা। এনিয়ে টানা ৩ বার শীল্ড জয় করলো মেলারমাঠের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। ত্রিপুরার ফুটবল ইতিহাসে বেনজির সম্মান পেয়েছে এগিয়ে চলো সংঘ। প্রথম কোনও ক্লাব টানা ৩ বার রাখাল মেমোরিয়াল ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শীল্ড ঘরে তুলতে পেরেছে। শীল্ড বিজয়ের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক এগিয়ে চলো সংঘের। আক্রমণ প্রতি আক্রমণের ফাইনালে গোলের সন্ধান পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে এগিয়ে চলো সঙ্ঘকে ৬৯ মিনিট। এর আগে যদিও বিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছিলো এগিয়ে চলো-র নিমা লেপচা। ওই গোলটি বাতিল করা হয়েছিলো অফ সাইডের জন্য । কিন্তু ৬৯ মিনিটে দলের পক্ষে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন নিমা লেপচা। ম্যাচের শুরু থেকেই দুদলের ফুটবলাররা কিছুটা পরিকল্পিত ফুটবল খেলে মাঠে উপস্তিত ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করে নেন। দুদলের পরিকল্পনা একই রকম থাকায় আক্রমণগুলো বেশীরভাগই সীমাবদ্ধধ ছিলো পেনাল্টি বক্সের কাছাকাছি। প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। বিরতির পর কিছুটা পরিকল্পিত ফুটবল খেলতে থাকে রামকৃষ্ণের ফুটবলাররা। এই অর্ধের সময় যত গড়িয়েছে এগিয়ে চলো ম্যাচে দখল নিতে শুরু করে। মাঝমাঠে রাজীব সাধনের নেতৃত্বে আক্রমণে গতি বাড়ায় রামকৃষ্ণের বক্সে। বারবার আক্রমণ গুলো প্রতিহত হচ্ছিলো রামকৃষ্ণ-র গোলরক্ষক সুরজ জমাতিয়া নামক ‘ওয়ালে’ গিয়ে। ম্যাচে অনবদ্য কয়েকটি সেভ করে দলকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন সুরজ। কিন্তু ৬৯ মিনিটে রক্ষণভাগের দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রামকৃষ্ণের জালে বল পাঠান নিমা লেপচা। গোল হজমের পর রামকৃষ্ণের ফুটবলাররা আক্রমণের গতি বাড়ান। কিন্তু এগিয়ে চলোর রক্ষণভাগে জয়ানন্দ সিং এবং তিন কাঠির নীচে বুদ্ধ দেববর্মা ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তাঁদের কাছেই কার্যত হার মানে রামকৃষ্ণের আক্রমণভাগের ফুটবলাররা। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের ব্যবধান অপরিবর্তিত রেখে ম্যাচ থেকে জয় তুলে নেওয়ার পাশাপাশি রাখাল শীল্ডের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি-টিও ঘরে তুলে নেয় এগিয়ে চলো সঙ্ঘ। উল্লেখ্য, পরপর দুবার হলুদ কার্ডের পর লাল কার্ড দেখে স্ট্রাইকার নিমা লেপচাকে আবার মাঠ থেকে বের হতে হয়। বলাবাহুল্য, ম্যাচের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন এগিয়ে চলোর গোল রক্ষক বুদ্ধ দেববর্মা। ম্যাচ পরিচালনা করেন রেফারি নির্মল ভট্টাচার্য।