ডিব্রুগড়ের মরানে জাপানিজ এনসেফেলাইটিসের প্রাদুর্ভাব, অসমে মৃত্যু ছয়জনের

গুয়াহাটি, ৫ আগস্ট (হি.স.) : কামরূপ গ্রামীণ জেলার বকো এবং ডিব্ৰুগড় জেলার অন্তর্গত মরানেও থাবা বসিয়েছে জাপানিজ এনসেফেলাইটিস। এখন পর্যন্ত মরানে সাতজনের শরীরে জাপানিজ এনসেফেলাইটিসের জীবাণু ধরা পড়েছে। এছাড়া বকো, চিরাং সহ গত পক্ষকালের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মহিলা ও বালিকা সহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

গতকাল জাপানিজ এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে বকো গামেরিমুড়ার ৩৫ বছর বয়সি জুলি দাসের মৃত্যু হয়েছে। ২৮ জুলাইও ভালুকঘাটার জনৈক হরি পাঠক (৫৮) মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া আরও দুজনের সন্দেহজনক জাপানিজ এনসেফেলাইটিসে আক্ৰান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে সরকারি সূত্রের খবরে জানা গেছে।

গোটা রাজ্যের হিসাব দিয়ে সূত্রটি জানিয়েছে, জাপানিজ এনসেফেলাইটিসে এ পর্যন্ত ১২ এবং ডেঙ্গু-আক্ৰান্তের সংখ্যা নয় (৯)। এর মধ্যে জাপানিজ এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে অসমের বিভিন্ন জেলায় মোট ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন। বকো ছাড়াও বরপেটা জেলার সুন্দরিদিয়ার বাসিন্দা খনিন পাঠক গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি পূর্ত বিভাগের অবসরপ্তাপ্ত কর্মচারী ছিলেন।
এর আগে, চিরাং বাসুগাঁওয়ের বাসিন্দা সুস্মিতা বসুমতারি নামে ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরী হাসপাতালে ভরতি হওয়ার কয়েক দিন পর মৃত্যুবরণ করেছে।

গত প্রায় সপ্তাহখানেক থেকে রাজ্যের লোয়ার থেকে আপার, বিভিন্ন প্ৰান্তে জাপানিজ এনসেফেলাইটিসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ডিব্ৰুগড় জেলাধীন মরানের খোয়াং খণ্ড প্ৰাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্ৰের অন্তৰ্গত কয়েকটি এলাকায় জাপানিজ এনসেফেলাইটিস এবং এনসেফেলাইটিস সদৃশ রোগে মোট সাত আক্ৰান্ত হয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে জাপানিজ এনসেফেলাইটিসে তিন এবং এনসেফেলাইটিস সদৃশ রোগ আক্ৰান্ত হয়েছেন চারজন।
সূত্রের খবর, জাপানিজ এনসেফেলাইটিসে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা যথাক্ৰমে মরান বামুনবাড়ির গড়পথার টেঙাপানি গ্রামের এক, পথালিবাম গাড়িশালি চেতিয়া গ্রামের এক এবং খোয়াং চমুয়া গ্রামের একজন। খোয়াং খণ্ড প্ৰাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্ৰের আধিকারিক ডা. এম সনোয়াল জানান, জাপানিজ এনসেফেলাইটিসে আক্ৰান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন কিছু সুস্থ হলেও এক মহিলা এখনও ডিব্ৰুগড়ে আসাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্য কেন্দ্ৰের তরফ থেকে ওষুধযুক্ত মশারি, বিভিন্ন এলাকায় ফগিং ইত্যাদি সহ প্রতিরোধী ব্যবস্থা গ্ৰহণ করার পাশাপাশি এ ব্যাপারে জনতাকে সজাগ হতে স্বাস্থ্য দফতর অভিযান চালিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *