নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ আগস্ট।। ২০১৯ সালে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় ছাত্র-ছাত্রীরা ডি এল এড কোর্স করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুর ট্রাইবেল বি এড ট্রেনিং কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু কোর্স সমাপ্ত হওয়ার পর কলেজ তাঁদের সার্টিফিকেট প্রদান করছে না। এবিষয়ে তাঁরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কোর্স ফি না দেওয়ায় ত্রিপুরার ছাত্র ছাত্রীদের মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট আটকে রাখা হয়েছে।
ফলে, তারা সংখ্যালঘু দপ্তরের অধিকর্তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু অধিকর্তার সাথে দেখা করতে গেলে তাদের বহু বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। যদিও মঙ্গলবার বহু অনুরোধ করে অধিকর্তার সাথে তাঁদের দেখা করার সুযোগ মিলেছে। কিন্তু অধিকর্তা তাঁদের তেমনভাবে আশ্বাস দিতে পারেনি বলে অভিযোগ ছাত্র-ছাত্রীদের।
তাঁরা জানান, অধিকর্তা বলেছেন সংখ্যালঘু দপ্তর থেকে অর্থ দপ্তরে ফাইল পাঠানো হবে। অনুমোদন মিললে অর্থ রাশি পাওয়ার পর কলেজ কর্তৃপক্ষকে ফি পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে কবে নাগাদ ফাইল পাঠানো হবে তার নিশ্চয়তা নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা প্রমাণ চেয়েছেন অধিকর্তার কাছে। কিন্তু, অধিকর্তা জানিয়ে দিয়েছেন, ফাইল পাঠানো হয়েছে কিনা পরবর্তী সময়ে এসে আবার খোঁজ নিতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা আরও অভিযোগ করেন, তাঁদের জীবন থেকে দু বছর নষ্ট করে দিয়েছে সংখ্যালঘু কল্যাণ দপ্তর। ফলে তাঁরা টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট জমা দিতে পারবেন না।
২০২১ সাল থেকে তাঁদের এভাবে বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। গত দুই বছর ধরে ডি.এল.এড কোর্স করা মোট ৭৮ জন ছাত্রছাত্রী এভাবে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। এদিকে সংখ্যালঘু কল্যাণ দপ্তরের জনৈক আধিকারিক জানান, করোনার সময় এই সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ লক ডাউনের সময় সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে চলে এসেছিল। তাই হোস্টেলের ভাড়া দেওয়া হয়নি দপ্তরের পক্ষ থেকে। কিন্তু এখন বিষয়টি নজরে এসেছে, তাই তা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অর্থ রাশি মিটিয়ে সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট দ্রুত বন্দোবস্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান এই আধিকারিক।

