কসবা কালী মন্দির ও কমলাসাগর দীঘিকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এজন্য পরিকাঠামো উন্নয়নে ১৭ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প রূপায়িত হবে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের আর্থিক সহযোগিতায় ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন নিগম এই প্রকল্প রূপায়ণ করবে। আজ কমলাসাগরের কসবা কালী মন্দির প্রাঙ্গণের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা জানান। মঞ্চে একটি চারা গাছে জল সিঞ্চণের মধ্য দিয়ে তিনি বৃক্ষরোপন কর্মসূচির সূচনা করেন। পর্যটনমন্ত্রী ও অনুষ্ঠানের অতিথিগণ পরে কমলাসাগর দীঘির পাড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপন করেন ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আমরা যেভাবে সন্তানকে আদর যত্ন করে বড় করে তুলি সেভাবেই একটি গাছের চারাকেও যত্ন করে বড় করতে হবে। তবেই বৃক্ষরোপন কর্মসূচির সাফল্য আসবে। তিনি বলেন, রক্তদানের মত বর্তমানে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপনে সামিল হতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যুবক যুবতীদের আত্মনির্ভর করতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা রূপায়ণ করছে। রাজ্যে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হলে বিকল্প রোজগারের পথ আরও প্রসারিত হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব। উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ছন্দা দেববর্মা, সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার, পুলিশ সুপার জে রেড্ডি, পর্যটন দপ্তরের সচিব উত্তম চাকমা, পর্যটন দপ্তরের সহ অধিকর্তা মৃণালকান্তি দাস প্রমুখ। আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপনের পর পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পর্যটন দপ্তর ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে কসবা কালী মন্দিরকে কেন্দ্র করে পর্যটন ক্ষেত্রের বিকাশে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

