‘ইন্ডিয়া’-কে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের তুলনা প্রধানমন্ত্রী

নয়াদিল্লি, ২৫ জুলাই (হি.স.): বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে আক্রমণ করতে গিয়ে এ বার নিষিদ্ধ জঙ্গি দল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রসঙ্গ টানলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে তুলনা করলেন ব্রিটিশদের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিরও। বললেন, ‘‘ইন্ডিয়া নাম নিলেই কিছু হয় না।’’

মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভে অচল সংসদের বাদল অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব ‘ইন্ডিয়া’। এই নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে বিরোধী জোট। এই আবহে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে বিজেপির সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই বিরোধী জোট নিয়ে এমন কটাক্ষ করেন মোদী। সেই বৈঠকেই বিরোধী জোটকে কটাক্ষ করেন মোদী। তিনি বলেন, “ ২০২৪ -এ আবার আমরাই ক্ষমতায় আসব। বিরোধীদের জোট ইন্দিয়া নিয়ে বলেন, নামে এক, আর কাজে আরেক । ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তৈরি করেছেন বিদেশি। ব্রিটিশরা এদেশে এসে নিজেদের নাম দিয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। বিরোধীরাও নিজেদের ইন্ডিয়া নাম দিয়েছে। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির নামেও ইন্ডিয়া রয়েছে। ইন্ডিয়া নাম দিলেই বড় কোনও কাজ করা যায় না।”

এদিনের বৈঠক শেষে বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গর্বিত। ২০২৪ সালে আমরাই ক্ষমতায় ফিরছি। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তৈরি করেছেন বিদেশি। এখন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, ইন্ডিয়ান পিপলস ফ্রন্টের মতো নামকরণ করছে লোকেরা। উপর উপর কোনও কিছুকে দেখা এবং ভেতরে ঢুকে তার সত্য অর্থ বোঝা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।’’ বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেছেন, ‘‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস তৈরি করেছেন এও হিউম, তিনি এক জন বিদেশি নাগরিক। মুজাহিদিনরা নিজেদেরকে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বলে উল্লেখ করে। পিএফআই-এর পুরো নাম পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। যে কোনও কিছুর সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দ জুড়ে দেওয়া একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওরা (বিরোধী) শহুরে নকশাল। নিজেদের বৈধ করতে ইন্ডিয়া শব্দ জুড়ছে।’’
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদী বাহিনীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একজোট হয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকে জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়ান্স) ঠিক করা হয়েছে। বিরোধীদের জোট নিয়ে আগেও আক্রমণ শানিয়েছিলেন মোদী। সে বার তিনি বলেছিলেন, ‘‘নব্বইয়ের দশক থেকেই দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে রাজনৈতিক জোটকে ব্যবহার করেছে কংগ্রেস। কখনও সরকার বানিয়েছে, কখনও ফেলেছে।’’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘নেতিবাচক কর্মসূচির উপর গড়ে ওঠা কোনও জোট সফল হতে পারে না। ওটা তো দুর্নীতি এবং পরিবারতন্ত্রের জোট। কেউ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হলেই বিরোধী জোটে প্রবেশাধিকার পেয়ে যান।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *