ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ জুলাই।।টিসিএ অফিসে লাগানো তালা অবশেষে ভেঙে ফেলা হলো। তালার জট খুললো। শুক্রবার সকাল থেকেই তপন লোধের তত্তাবধানে জেনারেল বডির সদস্যরা কিভাবে এই তালা খোলা যায় তা নিয়েই একের পর এক বৈঠক করে চলছিলো। সদর মহকুমা প্রশাসনের কাছে তালার জট খুলতে তপন লোধ চিঠি প্রেরণ করেন। যথারীতি সদর মহকুমা প্রশাসন তালা ভাঙলো। পুলিশের আশ্রয় নিয়ে টিসিএ অফিসে তালা ভাঙা হলো। এই কাজে খোদ উপস্থিত ছিলেন ডিসিএম সাহেব। তালা ভাঙার কথা মিডিয়ার সামনে তুলে ধরলেন খোদ তপন লোধ সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এদিকে দুপুরে এক সাংবাদিক বৈঠক করে টিসিএর সচিব তাপস ঘোষ স্পস্ট ভাবে বলে দেন, টিসিএর কর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তালা লাগানোর নোটিশ তিনি জারি করেছেন। এই নোটিশকে অমান্য করে কিছু সমাজদ্রোহিরা নাকি টিসিএ অফিসের তালা ভাঙতে চাইছে। বেশ কয়েকজনের নাম ও তিনি প্রকাশ্যে বলেন। টিসিএতে বিসিসি আইয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে। যেগুলো একদমই কনফিডেন্সিয়াল। এগুলোর নিরাপত্তাও দরকার। তাই তাপস ঘোষ অফিসের অর্ডার জারি করলেন। এদিকে তপন লোধ সহ জেনারেল বডির সদস্যদের দাবি, এই নোটিশ নাকি বেআইনি। সকাল গড়িয়ে দুপুর। দুপুর গড়িয়ে বিকেল। সদর মহকুমা শাসকের নির্দেশ ক্রমে তালা ভাঙা হলো। প্রশ্ন হলো, এই ভাবে কি সদর মহকুমা প্রশাসন কোনো স্ব শাসিত ক্রীড়া সংস্থার অফিসে নোটিশ লাগানোর পর ও তালা ভাঙতে পারে। টিসিএ অফিসের লোকেরাই তো এই তালা লাগালো। তালা খুলবে তো টিসিএর লোকেরাই। এখানে সদর মহকুমা শাসকের ভূমিকা ঘিরে ও উঠছে অবিরাম প্রশ্ন। আইনের পরিভাষায় তো এই তালা ভাঙতে পারেন না সদর মহকুমা শাসকের টিম। এবার দেখার এই জল আগামীতে আর কতদূর গড়ায়।
2023-07-21