কলকাতা, ১৯ জুলাই (হি. স.) : কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করিয়েও হিংসা ঠেকানো যায়নি। সেই হিংসার প্রতিবাদে বুধবার পথে নামে বিজেপি। একই মঞ্চে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
মননোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে ভোটের ফল প্রকাশের পর পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছে বহু মানুষ। শাসক ও বিরোধী- উভয় পক্ষেরই বহু কর্মী-সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতার প্রাণকেন্দ্র রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে মহা মিছিল করে বিজেপি। মিছিল শুরুর আগে সভামঞ্চে বক্তৃত্বা দেন দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের নামে রাজ্যজুড়ে প্রহসন হয়েছে। আমাদের কর্মীদের মনোনয়ন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বহু কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গোটা বিষয়টি কোর্টে জানিয়েছি। বিচার চলছে। জনগণ আমাদের পাশে রয়েছে। জনগণকে পাশে নিয়ে আমরা পথে নেমেছি।”
শহিদ দিবস নিয়েও কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, “দু-দিন পরে এখানে একটা নাটক হবে শহিদ দিবসের নামে। সারা বছর রাজ্যজুড়ে লোককে মারা হয়, আর ২১ জুলাই শহিদ দিবসের নামে নাটক করা হয়। এখানে লোক আসবে না। তাই পুলিশ আর সিভিক পুলিশ ফোন করে জানছে, কত বাস লাগবে, কত লোক আসবে। মেদিনীপুরের কাউন্সিলারকেও ফোন করে কত বাস লাগবে জানছে পুলিশ।”
ভোট-লুঠের অভিযোগ তুলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ভোটকেন্দ্রে সরকারি ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লুঠ করা হয়েছে। আমাদের কর্মীদের গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। বিডিও-র নেতৃত্বে ভোট লুঠ হয়েছে। ওসি পর্যন্ত ভোট লুঠে সাহায্য করেছে। এই সমস্ত ওসি, বিডিও-দের চাকরি খেয়ে আমরা ভিখারি করে ছাড়ব, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তাই আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পথে নেমেছি। এর জন্য যতদূর যেতে হয় যাব।”