চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্য কামনায় তিরুপতি মন্দিরে পুজো দিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা
চিতুর, ১৩ জুলাই (হি. স.) : শুক্রবার চন্দ্রযান ৩-কে সঙ্গে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এলভিএম৩ রকেট। বৃহস্পতিবার চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্য কামনায় তিরুপতি মন্দিরে পুজো দিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এদিন চন্দ্রযান-৩ এর একটি ছোট রেপ্লিকা মডেল নিয়ে তাঁরা পুজো দিতে যান সেখানে।
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ হবে ১৪ জুলাই, ২০২৩, শ্রীহরিকোটা থেকে দুপুর ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ৷ উৎক্ষেপণের এক দফা ‘রিহার্সাল’ও দিয়ে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে এলভিএম৩ রকেটের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে চন্দ্রযান ৩-কে।
ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, ২০১৯ চন্দ্রযান-২ মিশন আংশিক ব্যর্থ হওয়ার পর চন্দ্রযান-৩ তার ফলো আপ মিশন। ২০১৯ সালে চাঁদের মাটি স্পর্শের একেবারে শেষ লগ্নে ভেঙে যায় ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। ব্যর্থ হয় চন্দ্রযান-২ মিশন। এরপর তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডারটিকে সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করানো। তারপর ল্যান্ডারের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসার কথা ছিল রোভারের। চাঁদের ভূপৃষ্ঠে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা ছিল রোভারটির। ল্যান্ডারটি ভেঙে যাওয়ায় রোভারটিও নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে চাঁদের মাটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো সম্ভব হয়নি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে-সহ ভারতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর আঁধার অঞ্চলে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩। এই অংশের মাটি, তাপমাত্রা, রাসায়নিক উপাদান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে চন্দ্রযান-৩।
প্রসঙ্গত, চন্দ্রযান ৩ মিশনে আর কোনও ত্রুটি বিচ্যুতি চায় না ইসরো। এই কারণে বুধবার একপ্রস্থ ‘রিহার্সাল’ দেওয়া হয়েছে। যা সফল হয়েছে বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার তিরুপতি মন্দিরে গিয়ে ঈশ্বরের কাছে মিশনের সাফল্য কামনায় প্রার্থনা করলেন।

