বাসন্তী, ১৩ জুলাই (হি. স.) বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং) দল এসে পৌঁছয় দক্ষিন ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। সেখানে সোনাখালি গীতাঞ্জলী কমপ্লেক্সে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন নির্যাতিত বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে সত্যপাল সিং, রাজদীপ রায়, রেখা বর্মার মত নেতৃত্ব এদিন আসেন বাসন্তীতে। সেখানে এসে এই নেতৃত্ব কথা বলেন এলাকার বিজেপি কর্মীদের সাথে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার সাথে সাথে বিজেপি কর্মীদের উপর লাগাতার আক্রমণ হয়েছে। মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেননি অনেকেই। মনোনয়ন জমা দিলেও তা তোলার জন্য শাসকদলের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। আর সেই অত্যাচার সহ্য করে যারা নির্বাচনে প্রতিদন্ধিতা করেছেন, গত কয়েকদিন তাঁদেরকে নানা ধরনের অত্যাচার নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে। পুলিশ, প্রশাসনকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। আর তাই এদিন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কাছে পেয়ে সেই সব অত্যাচারের কথাই উগড়ে দেন বিজেপি কর্মীরা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এদিন তাঁদের সাথে আইনজীবীদের একটি দলও এসেছিলেন। তাঁরা আক্রান্তদের বয়ান শুনে তাঁদেরকে আইনি সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেন। রবিশঙ্কর বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সন্ত্রাস এখানে হয়েছে সেটা লজ্জার। যেভাবে আমাদের কর্মীদের মারা হয়েছে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুন এলাকায় সন্ত্রাস হয়নি, তিনি এলাকায় এসে দেখুন, এদের সাথে কথা বলুন, জানুন তাঁর দলের লোকজন কি সন্ত্রাস করেছে গ্রামে গ্রামে।” তিনি আরও বলেন, “ আমরা আক্রান্তদের সাথে কথা বলেছি, এদেরকে আইনি সাহায্য দেব এবং এই রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে জমা দেব।” আক্রান্ত বিজেপি কর্মী নবনিতা গায়েন, প্রতিভা সর্দাররা বলেন, “ আমরা অনেকই ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই ঘরছাড়া। আমাদেরকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশকে জানালেও কোন লাভ হয়নি। উল্টে আমাদেরকে নানা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে পুলিশ।”