পুরী, ২০ জুন (হি.স.): রথযাত্রা উপলক্ষ্যে অপরূপ সৌন্দর্য্যে সেজে উঠেছে জগন্নাথ ধাম পুরী। বিপুল সংখ্যক ভক্তদের সমাগমে ভগবান বলভদ্র, দেবী সুভদ্রা ও জগন্নাথের রথযাত্রা শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। মহসমারোহে ৯ দিনব্যাপী চলবে রথযাত্রা উৎসব। উৎসবে সামিল হতে পুরীতে ভিড় জমিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীরা। ভক্তরা যাতে নির্বিঘ্নে প্রভুর পুজো দিতে পারেন তাই ট্রাফিক, পার্কিং, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং ভিআইপি চলাচলের জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিগত কয়েকমাস ধরে দিনরাত কাজ করে তৈরি করা হয়েছে নবনির্মিত তিনটি রথ। সাজিয়ে তোলা হয়েছে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ। চিরাচরিত রীতি অনুসারে, ভগবান জগন্নাথ শ্রীহরি হলেন ভগবান বিষ্ণুর অন্যতম প্রধান অবতার। জগন্নাথের রথের নির্মাণ ও নকশা অক্ষয় তৃতীয়া থেকে শুরু হয়। বসন্ত পঞ্চমী থেকে শুরু হয় কাঠ সংগ্রহের কাজ। রথের জন্য কাঠ বিশেষ বন দশপল্লা থেকে সংগ্রহ করা হয়। রথযাত্রার যে প্রথা সকলকে মুগ্ধ করে তা হল, ঈশ্বর এই সময়ে ১৪ দিন নির্জনে থাকেন। আসলে এই সময় সব মন্দির বন্ধ থাকে। কথিত আছে, জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রাকে ১০৮ পাত্র জল দিয়ে স্নান করানো হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানকে বলা হয় সহস্ত্রধারা স্নান। কিন্তু পরে এই স্নানের কারণে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ভেষজ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তাই এই নির্জনতার আচার। ১৫ তম দিনে জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রা দর্শন দেন।
জগন্নাথধাম পুরীতে মঙ্গলবার অনেক সকাল থেকেই মুহুর্মুহু শোনা গিয়েছে জয় জগন্নাথ ধ্বনি। একবার রথের রশিতে টান দিতে কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী জগন্নাথ ধামে এসেছেন। সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে রথযাত্রার সূচনা হয়েছে। এরপর রথযাত্রার মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।