আগরতলা,১৮ জুন : আগামী ২০ জুন ২০২৩ ইং বিকাল ৩.০০ টার সময় ইসকন আগরতলা দ্বারা অত্যন্ত সুসজ্জিত বিশাল বর্নময় শোভাযাত্রার সাথে রথযাত্রা উৎসব শুরু হবে। ভগবান জগন্নাথ, বলদের এবং সুভদ্রা মহারানীর ঐশ্বরিক রুপের প্রতিনিদিকারী মহিমান্বিত রথগুলি সুন্দরভাবে রঙিন কাপড়, ফুল এবং অপূর্ব নকশা দ্বারা সজ্জিত থাকবে। ভগবানের পবিত্র নামের জয়ধ্বনির মাধ্যমে আনন্দের সাথে রথগুলি আগরতলার বিভিন্ন রাজপথে টানা হবে।
সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সীমানা অতিক্রম করে বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে রথযাত্রা উৎসব একটি বিশেষ স্থান ধারন করে। এটি একতা, সম্প্রীতি এবং অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া ভক্তির অনুভূতিকে উৎসাহিত করে, আধ্যাত্মিক প্রেম এবং ভক্তির সার্বজনীনতা প্রদর্শন করে। ত্রিপুরার শান্তিপ্রিয় জনগন প্রতিটি কোনায় কোনায় এই মহান উৎসবটি পালন করেন। যেহেতু জগন্নাথ সমগ্র বিশ্বব্রহ্মান্ডের প্রভু, তাই তাঁর ঐশ্বর্য ও মহিমাকে প্রতিফলিত করার জন্য ইসকন আগরতলা ৩টি পৃথক রথের মাধ্যমে এই মহান রথযাত্রার সুবিধা দিচ্ছে যা উত্তর পূর্ব ভারতের আর কোথাও দেখা যায় না।
আমরা আর এম এস চৌমুহনীস্থিত গুরুজি কনফারেন্স হলে জগন্নাথের মাসির বাড়ির ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করার জন্য সাত দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। ভগবান জগন্নাথের গুন্ডিচা মন্দির দর্শন, মেলা, শ্রীল প্রভুপাদ প্রদর্শনী সহ থাকছে বৈকালিক ও সান্ধ্যকালীন আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবছরের রথযাত্রা অনুষ্ঠান একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এছাড়া থাকছে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক পরিবেশনা, আধ্যাত্মিক প্রবচন ও ভগবান জগন্নাথের লীলা মহিমা কীর্তণ, অপাকৃত সুস্বাধু কৃষ্ণ প্রসাদের ব্যবস্থা এবং শিশুদের আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান । এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হল আনন্দ, আধ্যাত্মিকতা পুনরুজ্জীবন এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে মেল বন্ধনের পরিবেশ তৈরী করা।
রথযাত্রার এই মহতি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করার জন্য আমরা সকল অংশের জনগনকে আমন্ত্রন জানাচ্ছি। এই পারমার্থিক ও আধ্যাত্মিক আনন্দের অংশীদার হয়ে ভগবান জগন্নাথ, বলদের এবং সুভদ্রা। মহারানীর মহিমান্বিত রথযাত্রার সাক্ষী হন।