( আপডেট ) পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা : মালদায় দলীয় নেতাকে পিটিয়ে খুন, প্রতিবাদে পথ অবরোধ তৃণমূলের

কালিয়াচক, ১৭ জুন (হি. স.) : পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে অশান্তির আবহে আরও এক খুনের ঘটনা ঘটল রাজ্যে । শনিবার মালদায় তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ । তৃণমূলের অভিযোগ জেলার সুজাপুরের প্রার্থীকে পিটিয়ে খুন করেছে কংগ্রেস । যদিও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে । এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে রাজ্যে ভোটের বলি হলেন ছয় জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ওই কর্মীকে প্রার্থী করে তৃণমূল। শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন মুস্তাফা নামের ওই ব্যক্তি। সেই সময় বাঁশ, লাঠিসোঁটা, লোহার রড নিয়ে হামলা চালানো হয়। সুজাপুরের প্রাক্তন গ্রাম প্রধানও তিনি। মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছে তৃণমূল।

এই ঘটনায় সরাসরি কংগ্রেসের দিকে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেছে বেছে টিকিট দেওয়া হয়েছে। তাতে অনেক উপদ্রবকারীরা টিকিট পাননি। তৃণমূল ছেড়ে তাই কংগ্রেসে যোগ দেন তাঁরা। শনিবার তাঁরই মুস্তফকে খুন করেছেন। যদিও এই খুনে তাদের দলের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি কংগ্রেসের।

এই ঘটনায় সরাসরি কংগ্রেসের দিকে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেছে বেছে টিকিট দেওয়া হয়েছে। তাতে অনেক উপদ্রবকারীরা টিকিট পাননি। তৃণমূলে থেকে তৃণমূলকে নষ্ট করার চেষ্টা করছিলেন ওঁরা। টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়ে তাই কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁরই মোস্তাফাকে খুন করেছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। যদিও এই খুনে তাদের দলের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি কংগ্রেসের। দলের নেতা কৌস্তভ বাগচি বলেন,”তৃণমূলের দলের অন্দরেই খেউড় চলছে। এর জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো উচিত।”

প্রসঙ্গত, ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে লাগাতার হিংসা, খুনোখুনির ঘটনা যেভাবে চোখে পড়েছে, তাতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই মর্মে আবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *