নয়াদিল্লি, ১৫ জুন (হি.স.) : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে গুজরাতের কচ্ছ উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর প্রভাবে তছনছ হয়ে যেতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যে এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে গুজরাত সরকার । ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রায় ১০০ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় গুজরাতের পশ্চিম উপকূল এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে সক্রিয়ভাবে প্রভাব ফেলছে। কেন্দ্রীয় সরকারও সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। গুজরাতের সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের নীচু এলাকাগুলি থেকে ৩০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে উদ্ধারকারী দলকে।
আরব সাগরের উপর অতি শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বিপর্যয়। ১৩০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে এই ঘূর্ণিঝড়। এদিন সন্ধ্যার মধ্যেই গুজরাতের মান্ডবি এবং পাকিস্তানের করাচির মধ্যবর্তী পাকিস্তান উপকূল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে বিপর্যয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কচ্ছ, দ্বারকা, জামনগরে অতি ভারী থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে মৌসম ভবনের তরফে একাধিক রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গুজরাত, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, গোয়া ও লাক্ষাদ্বীপে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গুজরাতে ঘূর্ণিঝড়টি ল্যান্ডফল করতে চলেছে, তাই ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনাও সবথেকে বেশি। আগামী ১৬ জুন অবধি সমস্ত বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মৎসজীবীদেরও আগামী দুইদিন সমুদ্রে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।