ইমফল, ১৪ জুন (হি.স.) : মণিপুরে নতুন করে সংগঠিত সহিংসতার ঘটনায় নয় (৯) জনের মৃত্যু এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া এ খবর লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ চার থেকে পাঁচজন। ঘটনা মঙ্গলবার রাতে ইমফল পূর্ব এবং কাংপোকপি জেলার সীমান্তবর্তী আইগেজাং গ্রামে সংগঠিত হয়েছে।
ইমফল পূর্বের পুলিশ সুপার কে শিবকান্ত সিং জানান, ঘটনাটি গতকাল রাত প্রায় ১০ থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে সংগঠিত হয়েছে। তিনি জানান, সন্দেহভাজন জঙ্গিরা প্রথমে আইগেজাং গ্রামে ঢুকে গৃহস্থদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তার পর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু ও ১০ জন ঘায়েল এবং চার থেকে পাঁচজন নিখোঁজ বলে খবর। আহত ১০ জনকে ইমফলে এনে রাজ মেডিসিটিতে ভরতি করে চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। আহত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি জানান, হামলাবাজ সন্দেহভাজন জঙ্গিদের প্রতিরোধ করতে সেনা বাহিনীর যৌথ দলও গুলি চালিয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ বন্দুকযুদ্ধ হয়। সেনা বাহিনীর প্রবল গুলিবর্ষণে পিছ-পা হতে বাধ্য হয়েছে জঙ্গিরা
এক জিজ্ঞাসার জবাবে পুলিশ সুপার কে শিবকান্ত সিং বলেন, কুকি অধ্যুষিত আইগেজাং গ্রামে মেইতেইদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আইগেজাং হলো কুকি গ্রাম যা কাংপোকপি রাজস্ব জেলার অধীনে, কিন্তু ইমফল পূর্বের এখতিয়ারভুক্ত। আইগেজাং গ্রাম থেকে যে নয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁরা সবাই মেইতেই সম্প্ৰদায়ভুক্ত পুরুষ, তাঁরা গ্রামের বাসিন্দাদের নয়। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, হামলাবাজরা কুকি জনগোষ্ঠীভুক্ত। তবে কুকি অধ্যুষিত গ্ৰামে কী করে মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ হতাহত হয়েছেন, সে সম্পর্কে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এছাড়া তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকার করেন।
এদিকে নয়টি মৃতদেহ রাতেই নিরাপত্তা বাহিনী জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (জেএনআইএমএস)-এ নিয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. পবিন কুমার বলেন, নিহতদের ময়না তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রশাসন পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, জানান ডা. পবিন কুমার।
নতুন করে সংগঠিত ঘটনায় রাজ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিরাপত্তা কর্মীরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছেন।

