ডিমা হাসাও জেলায় আগামী ১০ দিন সম্ভাব্য প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত প্ৰশাসন গ্রেটার হাফলং, হারাঙ্গাজাও, মাহুর এবং ভূমিধস-প্রবণ এলাকার সব স্কুল আগামী পাঁচদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা

হাফলং (অসম), ১২ জুন (হি.স.) : গুয়াহাটির আঞ্চলিক মেট্রোলজিক্যাল বিভাগ থেকে ডিমা হাসাও জেলায় আগামী ১০ দিন প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে গতকাল রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিমা হাসাও জেলার দুর্যোগ প্রশমন বিভাগ এবং জেলা প্রশাসন পাহাড়ি জেলায় যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। জানিয়েছেন ডিমা হাসাওয়ের জেলাশাসক সীমান্তকুমার দাস। এদিকে গ্রেটার হাফলং, হারাঙ্গাজাও, মাহুর এবং ভূমিধস-প্রবণ এলাকার সব স্কুল আগামী ১৩ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত পাঁচদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন জেলার বিদ্যালয়-সমূহের পরিদর্শক।

আজ সোমবার জেলাশাসক তথা দুর্যোগ প্রশমনের চেয়ারম্যান সীমান্তকুমার দাস জানিয়েছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই যে কোনও দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সংশ্লিষ্ট লাইন ডিপার্টমেন্টগুলির সঙ্গে দুর্যোগ প্রশমন কর্তপক্ষ যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আঞ্চলিক মেট্রোলজিক্যাল বিভাগ থেকে ১১ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত ডিমা হাসাও জেলায় প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্কতা জারি করার পড় ডিমা হাসাও জেলা প্রশাসন হাই অ্যালার্টে রয়েছে।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ডিমা হাসাও জেলায় পাঁচটি ব্লক রয়েছে। এই পাঁচটি ব্লকের বিডিওদের সতর্ক করে যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সকল বিডিওদের সঙ্গে রয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের ফিল্ড অফিসাররা। তাছাড়া, জেলায় ৪০টি ত্রাণশিবিরও ইতিমধ্যে চিহ্নিত করে রেখেছে জেলা প্রশাসন। কেবল তা-ই নয়, জেলার খাদ্য ও অসামরিক বিভাগকে হাফলং, হারাঙ্গাজাও, উমরাংসো, মাইবাং, এই চারটি স্থানে আগামী দশ দিনের খাদ্যসামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে জেলাশাসক বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হলে সাধারণ মানুষের সহায়তার জন্য তিনটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।

জেলাশাসক দাস বলেন, তাছাড়া গুয়াহাটি থেকে মঙ্গলবার সকালে এনডিআরএফ-এর দল হাফলং এসে পৌঁছেছে। যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এনডিআরএফ-কে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। জেলাবাসীর প্রতি জেলাশাসক সীমান্তকুমারের পরামর্শ, বিনা প্রয়োজনে বৃষ্টির সময় কেউ যেন নিজের ঘর থেকে বের না হন।

এদিকে, গুয়াহাটির আঞ্চলিক মেট্রোলজিক্যাল বিভাগ আগামী ১০ দিন ডিমা হাসাও জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস দিয়ে সতর্কতা জারি করার পর এখন পাহাড়ি জেলার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কেননা, গত বছর ২০২২ সালের মে মাসে ডিমা হাসাও জেলায় অবিরাম প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের জন্য যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এবারও কি তার পুনারাবৃত্তি হবে, তা নিয়ে ভেবে শংকিত নাগরিককুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *