মৃত ব্যক্তির কার্ডে রেশন তোলা নিয়ে প্রশ্ন আদালতের

কলকাতা, ৭ জুন (হি. স.) : মৃত ব্যক্তির কার্ডে রেশন তুলে কী করে তা বাজারে বিক্রি করা সম্ভব, প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। বুধবার রেশন-দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা সামাজিক অপরাধ।

বুধবার এই ঘটনায় জেলাশাসকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে ৩ দিনের মধ্যে তার তথ্য আদালতে পেশ করতে হবে জেলাশাসককে।

নদিয়ার শান্তিপুরের গয়েশপুর এলাকায় রেশন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন ওই এলাকার এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, অনেক মৃত ব্যক্তির নামে রেশন তুলে খোলা বাজারে বিক্রি করেন ডিলার। আদালতে প্রমাণ হয়, বেআইনি ভাবে ৭৩ জন মৃতের নামে দিনের পর দিন রেশন তুলতেন ওই ডিলার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসককে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।

নদিয়ার শান্তিপুরে রেশন-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে আগেই তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। তারই শুনানিতে বিচারপতি বলেন, আদালতে হাজিরা দেওয়ার পরও জেলাশাসক গয়ংগচ্ছ মনোভাব দেখাচ্ছেন। ডিলারের দোষ পাওয়া গেল, আর তাঁকে সাসপেন্ড করা হল। সেটা কোনও শাস্তিই নয়। আদালতের প্রশ্ন, কেন জেলা প্রশাসন আর কোনও পদক্ষেপ করেনি।

অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলার গয়েশপুরের আমিরুল ইসলাম মণ্ডল মৃত ৭৩ জনের কার্ডে মাল তুলে তা খোলা বাজারে বিক্রি করতেন। অভিযোগ জানানোর পরেও পদক্ষেপ না করায় জেলাশাসককে আদালতে হাজিরা দিতে হয় ২০২০ সালে। তার পরেও মাত্র ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয় ওই ডিলারকে। অথচ হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, প্রয়োজনে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি। বুধবার এই মামলার শুনানিতে আদালতের নির্দেশ, আগামী শুক্রবার জেলাশাসককে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করতে হবে।