গুয়াহাটি, ০৫ জুন (হি.স.) : প্রকৃতিকে রক্ষা করতে স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবেশমূলক পদক্ষেপগুলি আরম্ভ করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রত্যেক বছর ৫ জুন তারিখে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়। প্লাস্টিকের সামগ্রীর দ্বারা সৃষ্ট দূষণ সমস্যার সমাধানের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে ‘বিট প্লাস্টিক পলিউশন’ থিমকে সামনে রেখে সমস্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জুড়ে এই বছরের “বিশ্ব পরিবেশ দিবস” পালিত হয়। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে মুখ্য কার্যালয়ের অন্যান্য বরিষ্ঠ আধিকারিকদের সাথে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব উত্তর গুয়াহাটির আমিনগাঁওস্থিত গুয়াহাটি রেলওয়ে গ্রিন্স-এর লনে চারা রোপণ করেন।
অনুষ্ঠানে জেনারেল ম্যানেজার পরিবেশ ও হাউসকিপিং ম্যানেজমেন্ট উদ্যোগ সম্পর্কিত একটি বুকলেট উন্মোচন করেন। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পাঁচটি ডিভিশনে রেলওয়ে আধিকারিকদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বৃক্ষ রোপণের পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনতা মূলক অভিযান চালানো হয় ।
জেনারেল ম্যানেজার বলেন যে পরিবেশের প্রতিকূল প্রভাব হ্রাস করার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে সবগুলি ফ্রন্টে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে মূলত উত্তর পূর্ব অঞ্চলের পারিপার্শিকভাবে সংবেদনশীল স্থানগুলিতে কাজ করে। সেই অনুযায়ী, ট্র্যাক বরাবর গ্রিন বেল্ট সংরক্ষণ, বনানীকরণ, জল সংরক্ষণ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করতে রেলওয়ে ইলেকট্রিফিকেশন, এলইডি লাইট ব্যবহারের মাধ্যমে শক্তি সংরক্ষণ, নবীকরণযোগ্য শক্তির উদ্যোগ, সৌর শক্তির ব্যবহার, বিভিন্ন পরিবেশ অনুকূল ব্যবস্থা সহ রোলিং স্টক থেকে বর্জ্য নিষ্কাশনের বায়ো-ফ্রেন্ডলি ডিসপোজালের মতো বিভিন্ন ব্যবস্থা উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের দ্বারা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জেনারেল ম্যানেজার উল্লেখ করেন।
দেশের বিকাশের জন্য উত্তর পূর্ব ভারতের স্থির উন্নয়নের অংশীদার হওয়াই উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের লক্ষ্য। ভারতীয় রেলওয়ে হলো গণ পরিবহণের সবচেয়ে পরিবেশ অনুকূল স্থায়ী পদ্ধতি। ‘বিট প্লাস্টিক পলিউশন’-এর জন্য রেলওয়ের দ্বারা গৃহীত পদক্ষেপগুলি ভবিষ্যতেও কার্বন ফুট প্রিন্টকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে এই অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হবে।