কলকাতা, ৪ জুন (হি. স.) : করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বাংলার ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
হতাহতের পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলার ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাঁদের শনাক্ত করা হয়েছে। তবে আরও অনেক আছে। আহত ২০৬ জনকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে এনে কলকাতায় হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এছাড়া ওড়িশায় হাসপাতালে ৭৩ জন ভর্তি রয়েছেন। ৫৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছাড়া হয়েছে। আর পরিচয় মেলেনি এরকম ১৮২ জন রয়েছেন।” তাঁদের ছবি প্রতিটি জেলায় শেয়ার করা হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ও তাঁদের পরিবারদের সাহায্য করতে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং সেল চলছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, “হাওড়া, খড়্গপুর, সাঁতরাগাছিতে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং সেল আছে। কয়েকজন আইএএস অফিসার বর্ডারে কাজ করছেন। আমাদের এখানকার লোক দেখলেই বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। কাল ৭০০ জনকে এনে দিয়েছে।”
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর রাত থেকে রাজ্য সরকার কাজ শুরু করেছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাঁর কথায়, “আমরা ওড়িশা সরকারের সঙ্গে কথা বলে কাজটা করেছি। দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকেই মনিটরিং করছি। মেদিনীপুর থেকে মেডিক্যাল টিম, অন্যান্য আধিকারিক, ১৫০টি অ্যাম্বুলেন্স, ৫০ জন চিকিৎসক পাঠিয়ে রাত থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছি।” এখনও পর্যন্ত বাংলার ৬২ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, “আরও অনেক আছে।” এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার, গুরুতর আহত ও স্বল্প আহতদের রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। যাঁদের দেহ এখনও মেলেনি তাঁদের স্বজনদের দুর্ঘটনাস্থলে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।