ভুবনেশ্বর, ৩ জুন (হি. স.) : কেউ যাচ্ছিলেন পেটের টানে, কেউ চিকিৎসা করাতে, কেউ হয়ত নিছকই বেড়াতে। পেশা যাই হোক, দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় পরিণতি প্রায় সবারই এক। কপাল জোরে যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরা চোখ থেকে সরাতে পারছেন না সেই সার সার মৃতদেহ, তাঁদের কানে এখনও বাজছে ভয় আর কষ্টের আর্তনাদ।
অভিশপ্ত একটি ট্রেনের যাত্রী এমরোজ খান বলেন, “চোখের সামনে দেখলাম মানুষজনকে মারা যেতে। চারিদিকে লাশের সারি। ভয়াবহ সেই দৃশ্য দেখে গায়ে কাঁটা দিল।”
ঝাড়গ্রাম থেকে স্বজনদের উদ্ধারের জন্য গিয়েছিলেন ইলিয়াস আলী। তিনি বলেন, “হাসপাতালের দৃশ্যটা বর্ণনা করতে পারব না। চারিদিকে রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষ পড়ে। কারও হাত নেই, কারও পা নেই। এই দৃশ্য কোনওদিন দেখতে হবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি।”
মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বালেশ্বর। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে মৃতদেহ। দুর্ঘটনার প্রায় ২০ ঘণ্টা পরও শোনা যাচ্ছে আহতদের কাতরানি। শুক্রবার রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেস, হাওড়া-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়। কাগজ দলা পাকালে যে অবস্থা হয়, সেই রকমই অবস্থা হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কামরাগুলির। দুর্ঘটনায় এখনও অবধি কমপক্ষে ২৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৯০০-রও বেশি। আহতদের ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একদিকে যেখানে হাসপাতালের বেড, মেঝেতে শুয়ে রোগীদের কাতরানির দৃশ্য দেখা গিয়েছে।