ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজস্থান, টঙ্ক জেলায় ১২ জনের মৃত্যু

জয়পুর, ২৬ মে (হি.স.) : বৃহস্পতিবার গভীর রাতে, বজ্রঝড়ের সাথে ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত রাজস্থান। রাজধানী জয়পুর ও আশপাশের জেলাগুলোতে ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার বেগে প্রবল বাতাস বইছে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়া এবং গাছ উপড়ে পড়ায় অনেক এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে। ঝড় বৃষ্টিতে টঙ্ক জেলায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশের মতে, টঙ্ক শহরে দাদু, নাতি এবং নাতনি সহ তিনজন এবং জেলার নিওয়াইতে দুই সন্তান সহ তিনজন মারা গেছেন। এ ছাড়া দেওলির টোকরাবাস ও আওয়ানে একজন করে, মালপুরায় দুইজন এবং টোডারাইসিং ও উনিয়ারায় একজন করে মারা গেছেন।

জেলাশাসক চিন্ময়ী গোপাল জানান, রাত থেকেই প্রশাসন তৎপর। আমাদের মহকুমা আধিকারিক এবং তহসিলদাররা রাতেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। আহতও হয়েছেন কয়েকজন। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ খবর নিলাম। আমরা যারা আহত হয়েছেন, যাদের বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কর্মীরা সমীক্ষা চালাচ্ছেন, নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ, জল ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত সমস্যাও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধান করা হচ্ছে।

জেলাজুড়ে গাছপালা, টিনের চালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ার পর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সমস্যা বেড়েছে। গত ১৫ ঘণ্টা ধরে গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। নেট সংযোগের পাশাপাশি মোবাইল নেটওয়ার্কও অনেক জায়গায় বিঘ্নিত হয়। শতাধিক পাখি ও দুই ডজনের বেশি গবাদি পশু মারা যাওয়ার তথ্যও রয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের মতে, শুক্রবারও রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে, গঙ্গানগর, হনুমানগড়, বিকানের, চুরু, ঝুনঝুনু, সিকর, আলওয়ার, নাগৌর, জয়পুর, দৌসা, ভরতপুর, ধৌলপুর এবং করাউলি জেলাগুলিতে বিকেলে বজ্রপাতের সঙ্গে বজ্রপাত হয়েছে। শিলাবৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বিকানের, জয়পুর, ভরতপুর, আজমির, কোটা বিভাগের জেলাগুলিতে আজও বজ্রপাত ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *