টিসিএ সচিবের নোমিনেশন ক্লাব থেকে প্রত্যাহার : সাংবিধানিক বিতর্ক

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ মে।। একদিকে ক্লাব থেকে নোমিনেশন প্রত্যাহার, অপরদিকে সাংবিধানিক নীতি-বিধান বিতর্ক। সব মিলে ক্রিকেট এসোসিয়েশনে এখন চায়ের কাপে ঘূর্ণিঝড়। দুপুরে চাওড় হওয়া খবর: দুর্নীতির অভিযোগে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তাপস ঘোষের নোমিনেশন প্রত্যাহার করে নিল সংশ্লিষ্ট ক্লাব। খবরের বাস্তবতাও রয়েছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ক্লাব থেকে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্দেশ্যে চিঠিও জমা পড়েছে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর। এখন মূল বিষয়, আদৌ কি এটা হতে পারে কিনা! সংবিধান কি বলে! সাংবিধানিক নিয়ম কানুনের কথা কতজন জানেন। বিশেষজ্ঞদের মতে সংবিধানে নির্দিষ্ট ধারা উপধারা রয়েছে। সময় এসেছে সেগুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণের। গোপন ব্যালটে নির্বাচন হয়েছে ২০২২-এর ২১ অক্টোবর। ৩২ জন ভোটারের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েই নির্বাচিত হয়েছেন সচিব তাপস ঘোষ। কমিটি গঠিত হয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে তিন বছরের জন্য। সংশ্লিষ্ট ক্লাব এখন ইচ্ছে করলে নোমিনেশন প্রত্যাহার করে নিলে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মতো স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কার্যকরী কমিটির নির্দিষ্ট পদ খারিজ হবে কিনা সেটা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। নোমিনেশন যাঁরা প্রত্যাহার করেছেন, তাঁদের মতে ত্রিপুরা ক্রিকেটে এসোসিয়েশন এই মুহূর্তে যথেষ্ট বেকায়দায় পড়বে। অপরদিকে টিসিএ-র সংবিধানের বিশেষ ধারা উপধারা অন্য উত্তর দিচ্ছে। মুখ্যত তিন বছরের জন্য অধিষ্ঠিত যে কোন পদ-ই পুরোপুরি বহাল থাকবে বলে অপরপক্ষ বিশেষজ্ঞদের মতামত। ক্লাবের পক্ষ থেকে নোমিনেশন প্রত্যাহার করে নিলেও তার কোন প্রভাব আদৌ কমিটিতে পড়বে না বলে সংগঠকদের অভিমত। ‌ কার্যত, কি হয় মূলতঃ তাই এখন দেখার বিষয়।