কে এই সুদীপ্ত সেন, কৌতূহুলীর ভিড় সামাজিক মাধ্যমে

কলকাতা, ৯ মে (হি. স.) : একজন বঙ্গসন্তান, সুদীপ্ত সেন। বাঙালি হয়েও বাংলাতেই চলল না তাঁর পরিচালিত ছবি। বক্স অফিস জুড়ে এখন শুধু একটাই নাম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। কিন্তু আসলে ছবির পরিচালক কে? কী তাঁর পরিচয়? তা জানতে কৌতূহুলীর ভিড় গুগুল, ফেসবুকে।

‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র চিত্রনাট্য লেখা এবং পরিচালনা করেছেন সুদীপ্ত সেন। বলিউডের বেশ পরিচিত ছবি নির্মাতা তিনি। ২০০৬ সালে পরিচালক হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তিনি। তাঁর প্রথম পরিচালিত ছবি ছিল ‘দ্য লাস্ট মঙ্ক’। এক অভিজাত পরিবারের মহিলা বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করে কীভাবে সন্ন্যাসের জীবন আপন করে নেন সেটাই পর্দায় তুলে ধরেছিলেন তিনি।

‘আসমা’, ‘লখনউ টাইমস’-এর মত কিছু অনামী ছবি করেছেন। বছরখানেক আগে ‘লাভ জিহাদ’-এর মত বিষয় নিয়ে তাঁর বানানো ‘ইন দ্য নেম অফ লাভ’ একইরকম বিতর্কের মুখে পড়েছিল। অনেকেই জানিয়েছেন, সুদীপ্ত যা দেখিয়েছেন, তা আদতেই ঠিক নয়। যদিও সেবারেও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে সুদীপ্তের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এবারেও ‘কেরালা স্টোরি’ বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে ট্যুইটে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সেলের সঙ্গে জড়িত অনেকেই।

এছাড়া ‘গুরুজন’-এর মতো ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি। মূলত স্বতন্ত্র প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গেই কাজ করেন সুদীপ্ত সেন। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ তাঁকে রাতারাতি প্রচারের আলোয় এনে ফেলেছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সম্প্রতি বাংলায় ছবিটি নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। শুক্রবার ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সিনে জগৎ এবং রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বাংলায় নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র প্রদর্শন। অথচ জানলে অবাক হবেন,

‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র ট্রেলার দেখে সকলেই নিশ্চয়ই মূল গল্পের আভাস পেয়ে গিয়েছেন। আবার কিছু মানুষ নিষিদ্ধ হওয়ার আগে মুক্তির পরপরই দেখে ফেলেছেন ছবিটি। অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়কে বড়পর্দায় তুলে ধরার জন্য পরিচালকের সাহসের প্রশংসা করছেন দর্শকরা।
বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিতর্কিত ‘কাশ্মীর ফাইলস’-এর সঙ্গে এই ছবির তুলনাও ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। সুদীপ্ত যদিও বলেছেন, এই তুলনা অমূলক। তিনি সম্পূর্ণ অন্য ধরনের এক গল্প বলতে চেয়েছেন। তবে অগ্নিহোত্রীর ছবিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘কাশ্মীর ফাইলস যেভাবে ভারতবর্ষকে রীতিমত ঝাঁকিয়ে দিয়েছে, এটাই সিনেমার শক্তির চূড়ান্ত প্রমাণ!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *