নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ০২ মে৷৷ সোমবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে জমিদাতাদের সহসাই ক্ষতিগ্রস্থদের পূরণ প্রদানের আশ্বাস দেন মন্ত্রী শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া৷ মন্ত্রীর এই আশ্বাস পেয়ে জমিদাতা ১৩ পরিবারের লোকজন সহ অভিভাবক মহলে খুশির হাওয়া৷
শিক্ষাকে ছাত্র-ছাত্রীদের আরো কাছাকাছি হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২০১৭ সালে সিপাহীজলা জেলায় নবোদয় বিদ্যালয়ের পথ চলা শুরু হয়৷ ২০১৭ সালে সিপাহীজলা জেলার গাবর্দিতে আসাম রাইফেলস এর একটি পরিত্যক্ত ক্যাম্পে এই বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়৷ ধীরে ধীরে সিপাহীজলা জেলার নবোদয় বিদ্যালয়ের নিজস্ব ঠিকানা হয় টাকারজলাতে৷ মোট ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সুদৃশ্য বিদ্যালয় এবং হোস্টেল গড়ে তোলা হয়৷ কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থে পাকা বাড়িটি তৈরি হলেও এই বিদ্যালয়ের জমি দান করেছিলেন টাকারজলা এলাকার মোট ১৩ জন বাসিন্দা৷ সরকার সেই সময় তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেবেন৷ কিন্তু এই .১৩ জন আজ পর্যন্ত তাদের ক্ষতিপূরণ পায়নি৷ সেই জন্য তারা বারবার রাজ্য সরকারের কাছে গেছেন৷ কিন্তু তারা ক্ষতিপূরণ না পেয়ে বিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে দেয়৷ ক্ষতিপূরণ না পেলে বিদ্যালয় চালু করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিতে থাকে৷ এই সমস্যা নিরসনের জন্য সোমবার নবোদয় বিদ্যালয়ের টাকারজলার পাকা বাড়িতে যান মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া৷ তাঁর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় সভা৷ মন্ত্রীর এই আশ্বাস পেয়ে জমিদাতা ১৩ পরিবারের লোকজন সহ অভিভাবক মহলে খুশির হাওয়া৷
2023-05-02

