বাংলাদেশি ছাত্রীকে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত অধরা, অকুস্থলে যাচ্ছে মহিলা কমিশন

কলকাতা ২১ এপ্রিল (হি. স.) : কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি ছাত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শনিবার পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা আসানসোলে যাচ্ছেন। বুধবারের ঘটনার পর শুক্রবারও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায় নি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে পুঢ়িশি তৎপরতা নিয়ে।

মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এই প্রতিবেদককে বলেন, “আমরা শনিবার সেখানে গিয়ে অভিযোগকারিনী এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখতে চাই।”

কেন অভিযুক্ত ধরা পড়ছে না? এই প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশের স্থানীয় এক অফিসার বলেন, “আমরা গ্রেফতারের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্যবস্থা আগাম নিতে চাই। সে কারণে পরিকল্পনামত আজ আদালতে গিয়েছিলাম। ঠিক হয়েছে, সোমবার ফের এর আইনি প্রক্রিয়ায় এগোনো হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ সাধন চক্রবর্তী এই প্রতিবেদককে বলেন, “যেটা আমি শুনেছি, আজ অভিযোগকারিনী ছাত্রীকে নিয়ে থানার পুলিশ আদালতে যায়। কিন্তু পুলিশ যেভাবে এগোতে চাইছে বিচারক সে ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে নির্দিষ্ট প্রশ্ন তোলেন। এর পর আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক আদালতে গিয়ে কথা বলেছেন।“

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এই ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্তকে গ্রেফতার নিয়ে যথেষ্ঠ পুলিশি তৎপরতা নেইয়বলে মনে করছেন। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী করতে পারে? প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, “আইসিসি (ইন্টারনাল কম্প্লেন্টস কমিটি)-র কাছে অভিযুক্ত এখনও তাঁর বিবৃতি জমা দেননি।

আমি জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আজই তাঁর সঙ্গে অভিযোগকারিনী ছাত্রীর দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত ছাত্রীটিকে আদালতে থাকতে হয়। আদালত থেকে জেলাশাসকের আবাস বা অফিস অনেক দূরে। আজ এর পর সম্ভব না হলে কাল ওঁদের কথা হবে।
বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের কাউন্সিলার রিয়াজুল ইসলাম শুক্রবার বলেন, আমরা এ দিনও পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি দ্রুত বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে নির্যাতিতা ছাত্রী যখন বাজারে বেড়িয়েছিলেন, দুই আততায়ী একটি বাইকে করে এসে তাঁকে আচমকা আঘাত করেন। ছাত্রীটি পড়ে আহত হন। তাঁর মোবাইল ফোনের কিছু তথ্য ও ছবি নষ্ট করে দুই আততায়ী ফোনটি ছুঁড়ে ফেলেন। এর নেপথ্যে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক সহকারী অধ্যাপকের নামে অভিযোগ উঠেছে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করে ওই ছাত্রী বুধবার সোজা চলে আসেন পার্কসার্কাসে বাংলাদেশ উপ দূতাবাসে। এর পর দূতাবাস কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ানোর আবেদন করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *