গুয়াহাটি, ১৩ এপ্রিল (হি.স.) : অবশেষে বিশ্ব রেকর্ড করেই ছেড়েছে অসমের লোকনৃত্য বিহু। অসম সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত মেগা ইভেন্টে ১১,২৯৮ জন ঢোল-বাদক ও বিহু শিল্পীর সমবেত নৃত্যে মনোমুগ্ধ হয়ে পড়েন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পদাধিকারীরা।
আজ পয়লা বৈশাখের দু-দিন আগে ‘গরু-বিহু’র দিন গুয়াহাটির সরুজাই স্টেডিয়ামে নিৰ্ধারিত বিকাল সাড়ে পাঁচটায় মুগা-নীল-সবুজ-বেগুনি ইত্যাদি রঙ-বেরঙের মেখলা পরে অসমের ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশন করেছেন ১১,২৯৮ জন শিল্পী। তাঁদের মধ্যে প্রায় তিন হাজার ছিলেন ঢোল, তাল (মন্দিরা), গগনা (বাঁশ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র), টকা (বাঁশের বুক চিরে তৈরি বাদ্যযন্ত্র), পেঁপা (শিঙা) এবং সুতুলি (মাটি দিয়ে ছোট ছোট গড়ার আদলে তৈরি বাদ্যযন্ত্র)-র মতো ঐতিহ্যবাহী যন্ত্র-বাদক। আজ কেবল বিহু নৃত্যে বিশ্ব রেকর্ড অর্জন হয়নি। দু-দুটি বিশ্ব রেকর্ড করেছেন বিহু শিল্পীরা। এক নৃত্য শিল্পী, দুই ঢোল-বাদক। দুটি ক্ষেত্রেই বিশ্ব রেকর্ড গড়ছেন অসমের শিল্পীরা।
লোকে লোকারণ্য স্টেডিয়াম, কানায় কানায় পরিপূর্ণ গ্যালারি। নির্ধারিত সময়ের আগে প্রায় সাড়ে চারটা থেকে একেক করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর পদাধিকারীবৰ্গ, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও পারিষদগণ, রাজ্যের সব সাংসদ-বিধায়ক মঞ্চে আসতে থাকেন। মূল অনুষ্ঠানের আগে একবার সমবেত বিহুনৃত্যের চূড়ান্ত প্রস্তুতি দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর শিল্পীদের উদ্দেশে প্রেরণাদায়ক আবেগিক ভাষণও দিয়েছেন তিনি।
আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর শংসাপত্ৰ তুলে দেওয়া হবে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সামনে সব নৃত্যশিল্পী পরম্পরাগত পাট-মুগার বস্ত্র পরিধান করে আবারও সমবেত বিহু নৃত্য পরিবেশন করবেন শিল্পীরা।
আজ মেগা বিহু নৃত্যের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে জনতার জন্য প্রবেশ অবাধ করা হয়েছিল। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দর্শকদের পাস নিয়ে প্রবেশ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।