নয়াদিল্লি, ১১ এপ্রিল (হি. স.) : তামিলনাড়ুতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পথ সঞ্চালনে সবুজ সংকেত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মাদ্রাজ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাজ্যের এমকে স্টালিন সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
গত ২৭ মার্চ সব পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় সংরক্ষণ করেন আদালত। তামিলনাড়ু সরকার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে। তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল মুকুল রোহাতগি বলেন, “আমরা রুট মার্চের বিরুদ্ধে নই তবে এটি সব জায়গায় একযোগে হওয়া উচিত নয়। তাদের জন্য একটি জায়গা দেওয়া যেতে পারে যেখানে এটি আয়োজন করা যেতে পারে।”
রোহাতগি প্রস্তাবিত পথ সঞ্চালনের বিরোধিতা করে বলেন, “প্রতিটি রাস্তায় মিছিল করে কী লাভ। যেখানে পরিস্থিতি ভালো না, সেখানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে মিছিল বের করা উচিত নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। সেজন্য এটা না করলেই ঠিক হবে। আমাদের কাছে গোয়েন্দা রিপোর্ট রয়েছে যে সীমান্ত সংলগ্ন কিছু স্পর্শকাতর এলাকা রয়েছে, সেখানে মিছিল না করার কথা বলা হয়েছে।”
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পক্ষে, অ্যাডভোকেট মহেশ জেঠমালানি বলেন, “এর আগেও আমরা সরকার কর্তৃক উল্লেখিত এলাকায় মিছিল করেছি। এরপর আদালত বলেন, গণতন্ত্রের ভাষা এক এবং ক্ষমতারও এক ভাষা। আপনি কোন ভাষায় কথা বলেন তা নির্ভর করে আপনি কোথায় আছেন তার উপর।
তামিলনাড়ু সরকারের আবেদনে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়েছে । তামিলনাড়ু সরকার পিটিশনে বলেছে, সংঘের এই পথ সঞ্চালনের কারণে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আসলে, মাদ্রাজ হাইকোর্ট সংঘকে পথ সঞ্চালনের অনুমতি দেওয়ার সময় তার আদেশে বলেছিল যে গণতন্ত্রের উন্নতির জন্য প্রতিবাদও প্রয়োজন।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে, সঙ্ঘ তামিলনাড়ু রাজ্য জুড়ে পথ সঞ্চালন করতে চেয়েছিল। এটি ৪ নভেম্বর, ২০২২-এ হাইকোর্টের একক বেঞ্চ স্থগিত করেছিল। একক বেঞ্চের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয় ডিভিশন বেঞ্চে। সিঙ্গল বেঞ্চের আদেশ উল্টে ডিভিশন বেঞ্চ সংঘকে পথ সঞ্চালনের অনুমতি দেয়। ডিভিশন বেঞ্চের এই আদেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল তামিলনাড়ু সরকার।

