নয়াদিল্লি, ১১ এপ্রিল (হি.স.): এ বছর ভারতে বর্ষা হবে স্বাভাবিক। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি)-এর ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বর্ষার ব্যাপারে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি)-এর ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। তিনি বলেছেন, এ বছর বর্ষা হবে স্বাভাবিক।
একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বর্ষার মরশুমে এল নিনোর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবং এল নিনোর প্রভাব ঋতুর দ্বিতীয়ার্ধে দেখা যেতে পারে।
এল নিনো কি?
আক্ষরিক অর্থে এলনিনো মানে ছোট্ট ছেলে। স্প্যানিশ ভাষায় বলা হয় ছোট্ট যীশু। ১৬০০ সালে দক্ষিণ আমেরিকার মৎস্যজীবীরা প্রথম প্রশান্ত মহাসাগরে এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের বিষয়টি নজরে আনেন। এদিকে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে প্রতি তিন ও সাত বছর অন্তর এই আবহাওয়ার ধরণের বদল ঘটে। বায়ু, সমুদ্র স্রোত, সমুদ্রের ও আবহাওয়ার তাপমাত্রার ভারসাম্য নষ্ট হওয়া ও বায়োস্ফিয়ারের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এল নিনো হলে আবহাওয়ার কী পরিবর্তন হয়?
এল নিনোর জেরে ঠান্ডা জল কোনওভাবেই ভৌম তলে আসতে পারে না। এর জেরে জল অস্বাভাবিকভাবে গরম হয়ে যায়।
এল নিনোর প্রভাবে ঠিক কী হতে পারে?
উষ্ণ জল মৎস্যচাষের ক্ষেত্রে মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে। গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হতে শুরু করে। আবার তার বিপরীত ঘটনাটিও রয়েছে। এল নিনোর প্রভাবে অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ এশিয়ার একাংশে প্রচন্ড খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রশান্ত মহাসাগরে সাইক্লোন ও টাইফুনের প্রবনতাও বাড়িয়ে দেয় এই এল নিনো।
কার্যত আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জেরে গোটা বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে। এবার ফের এল নিনো ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে ফের আবহাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বদলের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

