নয়াদিল্লি, ৩১ জানুয়ারি (হি.স.): বর্তমানে ভারতে স্থায়ী ও নির্ভীক সরকার রয়েছে, যা বড় স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে সহায়ক। বললেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। মঙ্গলবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে উভয় সভার যুগ্ম অধিবেশনে অভিভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতির ভাষণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গেল সংসদের বাজেট অধিবেশন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এদিন বলেছেন, গোটা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে ভারতের দিকে। কারণ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিকল্প সমাধান রয়েছে আমাদের দেশের হাতে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য এমন এক ভারত তৈরি করা যেখানে মানুষ প্রকৃত অর্থেই আত্মনির্ভর হবেন।’’
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, এমন একটি ভারত হওয়া উচিত যেখানে দারিদ্রতা থাকবে না, মধ্যবিত্তরাও সমৃদ্ধ হবে। যুবক ও মহিলারা সমাজ ও দেশকে পথ দেখাতে সামনে দাঁড়াবেন, এমন ভারত যার যুব সমাজ সময়ের থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকবেন। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে আমাদের এমন একটি দেশ গড়ে তুলতে হবে যা অতীতের গর্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে এবং যেখানে আধুনিকতার সমস্ত সোনালী অধ্যায় থাকবে। আমাদের এমন একটি ভারত গড়তে হবে যা হবে ‘আত্মনির্ভর’।
তাঁর ভাষণে ঘুরেফিরে এসেছে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে তিন তালাক, সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়েও বক্তব্য রেখেছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘‘আমার সরকার বড় সিদ্ধান্ত নিতে অকারণ কালক্ষেপ করেনি।’’ তাঁর মতে, ‘‘সবচেয়ে বড় বদল এসেছে প্রতিটি ভারতীয়ের মানসিকতায়। তাঁরা বর্তমানে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছেন। এই কারণেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের ভারত সম্পর্কে মূল্যায়নও বদলে গিয়েছে।’’ রাষ্ট্রপতির কথায়, “সার্জিক্যাল স্ট্রাইক থেকে শুরু করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, এলওসি এবং এলএসি-তে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল কিংবা তিন তালাক বাতিল করা সর্বক্ষেত্রেই এই সরকারের পরিচয় নিষ্পত্তিমূলক ছিল।”