নেতাজির জন্যই দেশ স্বাধীন হয়েছে, হাফলঙে সুভাষচন্দ্রের পূর্ণাবয়ব মূর্তির আবরণ উন্মোচন করে বলেন দেবোলাল

হাফলং (অসম), ২৩ জানুয়ারি (হি.স.) : ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বীর সেনানী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান অনস্বীকার্য। নেতাজির জন্যই আজ আমরা স্বাধীনতার মুখ দেখেছি। না-হলে এখনও আমাদের ব্রিটিশদের গোলামি করতে হত, মন্তব্য উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গার্লোসার। আজ সোমবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬-তম জন্মজয়ন্তীতে শৈলশহর হাফলঙের হাগজারনগর কলেজ রোডে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডের পাশে বহুজনের সঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ৮ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জের পূর্ণাবয়ব মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেছেন দেবোলাল।

উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গার্লোসা বলেন, দেশ স্বাধীন করার জন্যই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। নেতাজির মতো বীর পুরুষ জন্মগ্রহণ না করলে আজ আমাদের হয়ত ব্রিটিশদের গোলামি করতে হত। নেতাজির জন্যই আজ আমরা আমাদের পরিচয়, কৃষ্টি, সংস্কৃতি রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি, বলেন দেবোলাল। তিনি নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করে দেশ তথা পাহাড়ি জেলার উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬-তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে নেতাজি জন্মজয়ন্তী উদযাপন কমিটি এবং বাঙালি কল্যাণ পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন কার্যসূচির মাধ্যমে নেতাজি জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। নেতাজি জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সোমবার সকাল দশটায় হাফলং সাংস্কৃতিক ভবন থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সমগ্র শহর পরিক্রমা করে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ, রোটারি হয়ে হাফলং শহরে নেতাজি মূর্তির কাছে এসে শেষ হয়। তার পর বেলা ১১টা নাগাদ নেতাজির ৮ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জের মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন দেবোলাল গার্লোসা। দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মলগ্ন ঘোষনা করার পর আজাদ হিন্দ ফৌজের ব্যাঘ্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দেবোলাল গার্লোসা। বেলা ২-টা নাগাদ হাফলং সাংস্কৃতিক ভবন থেকে এক মটর সাইকেল রেলি জাটিঙ্গায় রানি মা গাইদিলুইর মূর্তিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করে সেখান থেকে ফিরে এসে একে একে মহাত্মা গান্ধী, বীর শম্ভুধন ফংলোর মূর্তিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

এদিন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের অধ্যক্ষ রাণু লাংথাসা, পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য স্যামুয়েল সাংসন, নজিত কেম্প্রাই, বিজিৎ লাংথাসা, রতন জারামবুসা, পরিষদ সদস্য লিটন চক্রবর্তী, ঈশ্বরিপ্রসাদ জইশি, হাফলঙের পুরপতি মনজিৎ নাইডিং, ডিমা হাসাওয়ের পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক কুমার প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *