ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ জানুয়ারি।। সুপার ডিভিশন ফুটবল ম্যাচের ১৪ মিনিট বিতর্ক এখনো ঝুলন্ত অবস্থায়। ১০ থেকে ১৬ জানুয়ারি, ৬ দিন অতিক্রান্ত হলেও বিষয়টার সুষ্ঠু মীমাংসা এখনো হলো না। বিষয়টা লীগ সাব কমিটির টেবিল থেকে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে গভর্নিং বডির মুখাপেক্ষী হলেও, গভর্নিং বডি আদৌ বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক করেছে কিনা সেটাও জানা নেই। দ্বি-মুকুট বিজয়ের মত বড় সাফল্যের অপেক্ষমান এগিয়ে চলো সংঘ মুখ্যত চাইছে, বিষয়টির ন্যায্য বিচার হোক। অবশ্যই সেটা যত শীঘ্র সম্ভব। কেননা, এগিয়ে চলো সংঘের মতে বিষয়টা লীগ রুলস এর গণ্ডি পেরিয়ে মূলতঃ এখন ষড়যন্ত্রের শিকার। লীগ রুলস নিঃসন্দেহে প্রকাশ্য বিষয়, সবারই জানা। লীগ রুলস অমান্য করলে, সমাধানের কি বিধান হতে পারে, তাও তো লীগ রুলসে উল্লেখ থাকার কথা। যথাসময়ের ম্যাচ যথারীতি সম্পন্ন, রেফারির রিপোর্টেও কোন অভাব অভিযোগ বা নীতি ভঙ্গের কথা উল্লেখ নেই। প্রথমত, বিষয়টা যখন সবার নজরে এসেছে এগিয়ে চলো সংঘের ম্যানেজার এবং কোচ কিন্তু যথারীতি ওই সময়ের এক মুহূর্ত দেরি না করে স্থানীয় খেলোয়াড় মাঠে নামিয়েছেন। কার্যত, বিষয়টার মধ্যে কোনও রকম ইচ্ছাকৃত দূর-অভিসন্ধির লেশমাত্র ছিল না। ফুটবল পায়ে খেলার নিয়ম, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ যদি হাতে খেলার চেষ্টা করে সেটাই নিয়ম ভঙ্গ। এর শাস্তি স্বরূপ রেফারি ম্যাচ থামিয়ে দেন, লাল কার্ড দেখিয়ে ওই প্লেয়ারকে মাঠ থেকে বের করেও দিতে পারেন। এক্ষেত্রেও নিয়ম ভঙ্গের কারণে, সমাধানের চাবিকাঠি পুরোটাই রেফারির হাতে। বিষয়টা চতুর্থ রেফারির গোচরে আসতেই কিন্তু খেলোয়ার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়। সেই প্রেক্ষাপটে পুরো বিষয়টা এগিয়ে চলো সংঘের পক্ষেই থাকছে। এখন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে লীগ রুলসে উল্লেখবিহীন “দশচক্রে ভগবান ভুত”-এর মত ম্যাজরিটি’র তকমা এঁটে পয়েন্ট কাটা এবং গোল কমানোর মত উদ্ভট শাস্তি জুড়ে দিলে বিষয়টা রাজ্য ফুটবল আঙিনায় বেনজির ঘটনা হয়ে থাকবে। কোনও ফুটবলপ্রেমী বিষয়টা মেনে নেবেন না। অনৈতিকভাবে একটা দলের হাত থেকে ট্রফি কেড়ে নেয়ার শামিল হবে। রুলস ভায়োলেশনে এ ধরনের সমস্যায়, রুলসে উল্লেখ যেহেতু নেই, তাই, মুখ্যত খেলোয়াড় অথবা দলের ম্যাচ মানি কেটে নেওয়া যেতে পারে। অথবা আর্থিক জরিমানার ফতোয়া দেওয়া যেতে পারে। জয়ী দলকে ট্রফি না দেওয়ার বিধান তো কোথাও উল্লেখ নেই? সোমবার, বিকেলে এগিয়ে চলো সংঘ আহূত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব সুমন্ত গুপ্ত এবং সভাপতি চঞ্চল নন্দী প্রমূখ বিষয়টা এভাবেই সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। সবশেষে বিষয়টা ন্যায্য বিচারের পথে না হাঁটলে তাঁরা এনিয়ে আইনের দ্বারস্থ হওয়া থেকে পিছুপা হবেন না বলেও জানিয়েছেন।
2023-01-16

