ত্রিপুরায় নির্বাচনে আসন রফা : সিপিএমের সিদ্ধান্তকে স্বাগত কংগ্রেসের, বিবেচনা করবে তিপরা মথা, মানুষকে বোকা বানানোর আরও একটা প্রয়াস, বলল বিজেপি

আগরতলা, ১১ জানুয়ারি (হি. স.) : ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে আসন রফা নিয়ে সিপিএমের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস। তিপরা মথাও গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবির সাংবিধানিক সমাধানের লিখিত আশ্বাস মিললে সিপিএমের সাথে আসন রফায় বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে। বিজেপির দাবি, সিপিএমের সাথে কংগ্রেসের গোপন সমঝোতা এখন প্রকাশ্যে আসছে। তাঁরা মানুষকে আগেও বোকা বানিয়েছে। মানুষ নির্বাচনে যোগ্য জবাব দেবেন।

প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় সিপিএম আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং তিপরা মথার আসন ভাগাভাগি করতে চাইছে। রাজ্য কমিটির বৈঠকে এ-বিষয়ে সিলমোহর পড়েছে। আজ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী কংগ্রেস এবং সিপিএমের সাথে আসন রফা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।

এ-বিষয়ে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ বলেন, আসন রফা নিয়ে সিপিএম খুবই ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ত্রিপুরার মানুষের স্বার্থে সমস্ত গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক শক্তিগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ, সাম্প্রদায়িক এবং জনবিরোধী বিজেপি-কে পরাজিত করতে তার যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

এদিন তিপরা মথার চেয়ারম্যান তথা এমডিসি প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে আসন রফা নিয়ে সিপিএম এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করেনি। তবে, গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের সমর্থনে লিখিত আশ্বাস দিলে সিপিএমের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবো। তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় দীর্ঘ বঞ্চনার বিচার চাইছি। কেন্দ্রীয় সরকার বরাবর জনজাতিদের দাবিকে উপেক্ষা করেছে। শুধুই ধর্ম এবং জাতপাতের নামে রাজনীতি করেছে। এখন সিপিএম আমাদের দাবির প্রতি সমর্থন রেখে নির্বাচনে আসন রফা করতে চাইলে নিশ্চয়ই বিবেচনা করা হবে, বলেন তিনি।

এদিকে, শাসক দল বিজেপি সিপিএমের এই সিদ্ধান্তকে মানুষকে বোকা বানানোর প্রয়াস বলে দাবি করেছে। বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, কংগ্রেস ও সিপিএমের সম্পর্ক নতুন নয়। মানুষকে বোকা বানানোর জন্য তাঁদের সুবিধাবাদী রাজনীতি। তাঁর দাবি, কংগ্রেসের মদতেই সিপিএম ত্রিপুরায় ২৫ বছর রাজত্ব করেছে। আগে তাঁরা লুকিয়ে প্রেম করতেন, এখন তা প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ তাঁদের যোগ্য জবাব দেবেন, জোর গলায় বলেন তিনি।রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচনে খুব শীঘ্রই ত্রিপুরায় রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে চলেছে। এক্ষেত্রে আখেরে কোন দল উপকৃত হবে, এই মুহুর্তে অনুমান করা যাচ্ছে না। তবে, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বিবেচনা করা হলে, এখনো শাসক দল বিজেপি অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *