আহমেদাবাদ, ২৪ ডিসেম্বর (হি.স.): নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের ২৫ সালের মধ্যে ভারত এক নম্বরে পরিণত হবে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার মেহসানার পিলওয়াই গ্রামের শেঠ জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে দেশের নতুন শিক্ষা নীতি সম্পর্কে কথা বলেন তিনি। নতুন শিক্ষানীতির বিশেষত্ব উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রদানই এর মূল লক্ষ্য, বৃত্তিমূলক ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত করা। তিনি নতুন শিক্ষানীতিকে গবেষণা ও মৌলিক চিন্তার আশীর্বাদ হিসেবে বর্ণনা করেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ মেহসানার পিলওয়াই গ্রামের শেঠ জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এই উপলক্ষে তিনি মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সাথে স্কুলের কম্পিউটার ল্যাবরেটরি এবং সোলার সিস্টেমের উদ্বোধন করেন। স্কুল ছাত্রদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহ বলেন, যদি একটি প্রতিষ্ঠান ৯৫ বছর ধরে চলতে থাকে তবে এটি দেখায় যে এর ভিত্তিটি অত্যন্ত পবিত্রতা এবং অনুভূতির সাথে স্থাপিত হয়েছিল। সংস্থা চালানোর জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, কঠোর পরিশ্রম এবং সমন্বয় প্রয়োজন।
দেশের শিক্ষানীতির সঙ্গে নতুন শিক্ষানীতির পার্থক্যও তুলে ধরেন শাহ। তিনি বলেন, বৃটিশদের শিক্ষা ও পরীক্ষাভিত্তিক পদ্ধতির কারণে যুক্তি, বিচার ও চিন্তাশক্তির অভাব ছিল। অন্যদিকে, ২০১৪ সালে দেশে যেভাবে পরিবর্তন হয়েছিল এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার একটি নতুন শিক্ষানীতি তৈরি করে। অনেকের সঙ্গে আলোচনা করে এই শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ এই শিক্ষা নীতির অনেক বৈশিষ্ট্য তালিকাভুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, নতুন পাঠদান পদ্ধতিতে শিশু মাতৃভাষায় পড়বে, কথা বলবে ও ভাববে। এটি গবেষণা এবং মৌলিক চিন্তাকে উত্সাহিত করবে। পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে মাতৃভাষায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ভোপালে হিন্দিতে চিকিৎসা শিক্ষা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি যখন তার মাতৃভাষায় চিন্তার বিষয় পড়ে তখন মৌলিক চিন্তাভাবনা করতে পারে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে দেশের শিশুরা যেন মাতৃভাষায় লেখাপড়া করতে পারে।