নয়াদিল্লি, ২৮ অক্টোবর (হি.স.): যখন দেশের শক্তি বাড়বে, তখন দেশের প্রতিটি নাগরিক ও প্রতিটি পরিবার ক্ষমতায়িত হবে। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের ‘চিন্তন শিবির’-এ বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “এটাই তো সুশাসন, যার সুফল দেশের প্রতিটি রাজ্যে সমাজের অন্তিম স্তরে থাকা মানুষের কাছে পৌঁছবে। এক্ষেত্রে আপনাদের সবার বড় ভূমিকা রয়েছে।” শুক্রবার সকাল ১০.৩০ মিনিট নাগাদ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হরিয়ানার সুরজকুন্ডে আয়োজিত রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের ‘চিন্তন শিবির’-এ অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ‘চিন্তন শিবির’-এ উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও উৎসবের সময় দেশের ঐক্যকে শক্তিশালী করা আপনাদের প্রস্তুতিরই প্রতিফলন। আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের দায়িত্ব, কিন্তু তা দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার সঙ্গেও যুক্ত।” প্রধানমন্ত্রীর বলেছেন, “সুরজকুন্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই চিন্তন শিবির সমবায় ফেডারেলিজমের একটি চমৎকার উদাহরণ। রাজ্যগুলি একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে, একে অপরের থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে এবং দেশের উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পারে – এটি সংবিধানের অনুভূতি এবং আমাদের নাগরিকদের প্রতি আমাদের কর্তব্য।”
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “আগামী ২৫ বছর হবে ‘অমৃত যুগ’ তৈরির জন্য। এই ‘অমৃত যুগ’ তৈরি করা হবে ‘পঞ্চ প্রতিজ্ঞা’-র সংকল্পগুলিকে আত্মস্থ করে – একটি উন্নত ভারতের সৃষ্টি, সমস্ত ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে মুক্তি, ঐতিহ্যের প্রতি গর্ব, ঐক্য এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নাগরিক কর্তব্য।” মোদীর সংযোজন, “কোভিডের সময় পুলিশের সুনাম উন্নত হয়েছে। তাঁরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও অভাবীকে সাহায্য করছিলেন, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করছিলেন। তাদের কর্তব্যপরায়ণতার কমতি ছিল না। প্রয়োজন একটি ভাল উপলব্ধি বজায় রাখা, এ জন্য, পুলিশ বাহিনীকে অনুপ্রাণিত করা, এর জন্য পরিকল্পনা করা এবং তাদের গাইড করা চালিয়ে যেতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “সাইবার অপরাধ হোক অথবা অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার, এ জন্য আমাদের নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। স্মার্ট প্রযুক্তি আইনশৃঙ্খলাকে স্মার্ট করা সম্ভব করবে।”