আগরতলা, ১৮ অক্টোবর (হি. স.) : শিক্ষা সমাজের মেরুদন্ড। শিক্ষাই সমাজকে সঠিক দিশা দেখাতে পারে। আজ আগরতলার কুঞ্জবনে ঋষি শ্রী অরবিন্দ সরকারি ইংলিশ মিডিয়াম কলেজের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই কলেজটি রাজ্যে প্রথম সরকারি ইংলিশ মিডিয়াম কলেজ। রাজ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা খুবই প্রয়োজনীয়। এই ইংলিশ মিডিয়াম কলেজ উদ্বোধনের মাধ্যমে রাজ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটলো।
এদিন তিনি বলেন, একটি নুতন কলেজ চালু করা খুবই কঠিন ব্যাপার। নানা সমস্যা কাটিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা দপ্তরের চেষ্টায় এই কলেজ চালু করা সম্ভব হয়েছে। আগামীতে এই কলেজের পরিকাঠামোগত দিক থেকে শুরু করে শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সরকারের আরও চেষ্টা থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যায় শিক্ষিত হলেই চলবে না। প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। সমাজে প্রকৃত মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বর্হিভূত কার্যক্রমে পারদর্শি হতে হবে। শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডেও নিজেকে যুক্ত রাখতে হবে। বয়জ্যেষ্ঠদের সম্মান এবং ছোটদের প্রতি ভালোবাসা থাকা প্রয়োজন। তবেই একজন শিক্ষার্থী নিজেকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়তে পারবে।
মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষক শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যেন নিজেরাও নতুন নতুন জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে নিজেদের সবসময় তৈরি রাখেন। এতে শিক্ষকতার মান বাড়বে। মুখ্যমন্ত্রী অভিভাবকদের সন্তানের প্রতি সচেতন হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীরা যেন নেশা আসক্তি থেকে দূরে থাকে। রাজ্যের বর্তমান সরকারও নেশা দূরীকরণে সদা সচেষ্ট রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা, ঋষি অরবিন্দের স্মৃতিচারণ করেন ও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, শিক্ষার মাধ্যমেই জীবনের গুরুত্ব উপলব্ধি করা সম্ভব। বর্তমান রাজ্য সরকার মানব সম্পদ উন্নয়নে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে। সঠিক শিক্ষা ও উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার মাধ্যমেই উন্নত মানব সম্পদ গড়া সম্ভব। সরকার এই দুটি বিষয়েই গুরুত্ব দিয়েছে।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় বর্তমানে ১২৮টি প্রাকপ্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ত্রিপুরায় ২৫টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজের মধ্যে ২১টি কলেজ ন্যাকের অনুমোদন প্রাপ্ত। ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীরা যাতে সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের দক্ষতা প্রতিষ্ঠিত করতে পারে তার জন্য ‘লক্ষ্য’ নামে প্রকল্প চালু করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ৬টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজে বাংলা ও ইংরেজিতে মাস্টার ডিগ্রি কোর্স চালু করা হয়েছে।