অরুণাচলে অবিরাম বৃষ্টিপাত, পূর্ব সিয়াং জেলায় বন্যা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জারি হাই অ্যালার্ট

ইটানগর, ১২ অক্টোবর (হি.স.) : গত কয়দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাত হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশে। ফলে পূর্ব সিয়াং জেলায় বন্যা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। পূর্ব সিয়াঙের জেলাশাসক তায়ি তাগু জেলার বৃষ্টিপাত ও বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে জরুরি পর্যালোচনা বৈঠকের হাই অ্যালার্ট জারি করে জেলার বাসিন্দাদের নদী পার হওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলাশাসক তায়ি তাগু এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সতর্কবার্তা দিয়ে জানান, গত কয়েকদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সিয়াং জেলার নিচু অংশের জন্য উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কেননা, সিয়াং নদীর জল প্রবল স্রোতে বইছে। তিনি আরও জানান, যে কোনও আসন্ন বিপদের সম্ভাবনা দেখা দিলে জনগণকে আগে থেকে অবহিত করা হবে। তবে জনগণকে উদ্বিগ্ন না হওয়ারও আহ্বান জানান জেলাশাসক। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, জলসম্পদ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রালয় দুর্যোগপূর্ণ গোটা বিষয়ের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।
অন্য এক নিৰ্দেশিকায় জেলাশাসক তাগু ক্রমবর্ধমান সংকট মোকাবিলায় সরকারি আধিকারিক ও কর্মচারীদের জেলা সদর ত্যাগ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসার সাংপা তাশি জানান, পসিঘাটে ১০ অক্টোবর ৪৮২ মিমি, ১১ অক্টোবর রাত পর্যন্ত ৪৮০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে, যা গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তিনি জানান, এসডিআরএফ-এর দল সক্রিয়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পাসিঘাট পুরসভার সমস্ত সংবেদনশীল এলাকার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে এসডিআরএফ। স্থানীয়দের আশ্বস্ত করে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় জল কমিশনের সাথে ঘন ঘন যোগাযোগ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সিয়াং নদীর জন্য গেজিং স্টেশনে কোনও অস্বাভাবিক জলপ্রবাহ দেখা যায়নি।
অন্যদিকে, হাইওয়ে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ডাবে পারমের কাছে জানা গেছে, পাসিঘাট-পাঙ্গিন রোডের ৬৪ কিলোমিটার এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া ব্যাপক ভূমিধসের ফলে একাধিক স্থানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পাসিঘাট-সিগার রোড। সড়কগুলি পরিষ্কার করার জন্য ওই সমস্ত এলাকায় যন্ত্রপাতি সহ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, যোগ করেন ডাবে পারম।
বিদ্যুৎ বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তারিক মিজ বলেন, সিলে নদীর জলপ্লাবণে ১১ কেভি লাইনের সংযোগকারী বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেসে গেছে, যা সিলেকে ১২ মাইল এলাকার সাথে সংযুক্ত করে। ভারী বৃষ্টিপাতের দরুন মেরামতের কাজ ব্যাহত হচ্ছে, বলেন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তারিক।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রবল বর্ষণে গতকাল মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) থেকে নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলার বোমজিরে দিবাং নদীর একটি দ্বীপে আটকে পড়া পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের ৩১ জন শ্রমিককে আজ ১২ অক্টোবর এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *