BRAKING NEWS

Dengue:ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতায় অভিনব উদ্যোগ, ‘ব্যাট’ হাতে মণ্ডপে-মণ্ডপে মশা খুঁজছে ২ খুদে

কলকাতা, ১ অক্টোবর (হি.স.): পুজোর আগে থেকেই কলকাতায় লাল চোখ দেখাচ্ছে ডেঙ্গু। এই আবহে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে দুর্গাপুজোয় অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। থিম, আলোকসজ্জা, পরিবেশের পাশাপাশি কোন মণ্ডপ কতটা ডেঙ্গু সচেতন, সেটা বাছাই করা হচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতার বিচারে মিলবে শ্রেষ্ঠত্বের পুরষস্কার।এর জন্য কোনও মণ্ডপে মশা রয়েছে কিনা তা যাচাই করে দেখার দায়িত্ব পড়েছে দুই খুদের উপরে। পুজোর দিনে বড়-বড় বিচারকদের সঙ্গে মণ্ডপ ঘুরে দেখছে তারাও।

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অমাত্রা দে এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া স্বপ্ননীল দাস। এবার পুজোর সর্বকনিষ্ঠ বিচারকও দুই খুদে। বিশেষজ্ঞ বিচারকদের সঙ্গে মণ্ডপে-মণ্ডপে যাচ্ছে তারা। হাতে রয়েছে মশা মারার ব্যাট। প্রতি ১০ মিনিটে সেই ব্যাটে কত মশা মরছে মণ্ডপে, তা গুনে রাখাই ওই দুই খুদের কাজ। সেই হিসেবই বলে দেবে কোন মণ্ডপ ডেঙ্গু নিয়ে কতটা সচেতন।

অমাত্রা ও স্বপ্ননীল দু’ জনেই ডেঙ্গু সচেতনতার পরীক্ষা করছে মণ্ডপে মণ্ডপে। তারা জানাচ্ছে, নেতাজিনগর লো ল্যান্ড মণ্ডপে ১০ মিনিটে ২৯টি, টালা পার্ক প্রত্যয় মণ্ডপে ১০ মিনিটে ৮টি, চোরবাগান সর্বজনীন ১০ মিনিটে ৬টি মশা, নলিন সরকার স্ট্রিট মণ্ডপে ১০ মিনিটে ৫টি মশা, নিউটাউন সর্বজনীন মণ্ডপে ১টি এবং দমদম পার্ক সর্বজনীন মণ্ডপে ১০ মিনিটে ১টি মশা মারা হয়েছে। তবে কাশী বোস লেনে ১০ মিনিটে একটি মশাও পাওয়া যায়নি। তাদের এই পরীক্ষার উপর নির্ভর করে ঘোষিত হবে শ্রেষ্ঠ ডেঙ্গু সচেতন পুজোর তালিকা।

এই সম্মানের উদ্যোক্তা রাজর্ষি দাস বলেন, “বিচারকদের মধ্যে অনেকেই সমাজের বড় বড় জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। রয়েছেন ডিজাইনার স্নেহাংশু শেখর দাস, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক একে সামন্ত, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী মিহিরকুমার দত্ত, বড়াপান্ডা ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালকাটার অধ্যাপক ডক্টর দীপক কুমার, রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী সমীরকুমার সাহা। কিন্তু এই ছোট দু’ জনই এবারের সেরা বিচারক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *