West Tripura :আজাদি সে অন্ত্যোদয় তক, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পুরস্কৃত

আগরতলা, ১ অক্টোবর (হি. স.) : আজাদি সে অন্ত্যোদয় তক অভিযান বাস্তবায়নে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা দেশের ৭৫টি জেলার মধ্যে ৭ম স্থান পেয়েছে। এই অভিযানে দেশের সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জনকারী ১০টি জেলাকে ভারত সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সম্মানিত করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া হ্যাবিটেট সেন্টারে অনুষ্ঠিত সম্মাননা অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, অতিরিক্ত জেলাশাসক অসীম সাহা ও সহকারি প্রকল্প অধিকর্তা বিপুল কর্মকার।
উল্লেখ্য, ৯০ দিনব্যাপী ‘আজাদি সে অন্ত্যোদয় তক’ অভিযান বাস্তবায়নের জন্য দেশের ৭৫টি জেলাকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। আজাদি সে অন্ত্যোদয় তক অভিযান শুরু হয় ২৮ এপ্রিল, 2022 থেকে। ৯টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও দপ্তরের প্রকল্পে ২৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭৫টি জেলার সমস্ত সুবিধাভোগীকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে। লক্ষ্য ছিল ১৭টি নির্বাচিত বিভিন্ন প্রকল্পে ৯০ দিনের মধ্যে সমাজের অন্তিম ব্যক্তিদের কাছে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া।
এই অভিযান রূপায়ণে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ক্লাস্টার ভিত্তিক সচেতনতা সৃষ্টির পন্থা অবলম্বন করা হয়। গৃহ নির্মাণ সময়মতো শেষ করার জন্য বিশেষ করে বয়স্ক সুবিধাভোগীদের বিশেষ সহায়তা প্রদান, নির্মাণ কাজে গুণমান বজায় রাখার জন্য রাজমিস্ত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, নির্মাণ সামগ্রীর সরবরাহ নিশ্চিত করতে সুবিধাভোগীদের সাথে আলোচনা, পঞ্চায়েতগুলির সহায়তায় সুবিধাভোগী নির্বাচন করা, স্বসহায়ক দলগুলিকে বিশেষ সিআরপি ফান্ড দেওয়া, ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক সখীদের কাজের পর্যালোচনা করা, স্ট্রিট ড্রামা ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি, প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ব্যাঙ্কগুলির বিশেষ শিবিরের আয়োজন ইত্যাদি।
অভিযান চলাকালীন সময়ে ১৭টি কেপিআই-এর ভিত্তিতে গড়ে ১০৮ শতাংশ সাফল্য পাওয়া গেছে। ফলে ২,৬৪৩টি পাকা গৃহ নির্মাণ, ৬,২৭৭ মহিলা স্বসহায়ক দলের সদস্যকে সহায়তা প্রদান, প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় ৮,৬৪৭টি পরিবারকে নথিভুক্ত করা, ১৪,৫৩৭ জনকে প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বীমা যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করা, ৩৩৫ জনকে স্কিল হাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া, ১,২৬৪ জন এস এ এম শিশুকে পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান, ২৫,৫৪৩ জন মহিলাকে প্রধানমন্ত্রী মাত্র বন্দনা যোজনায় সহায়তা প্রদান, ১০, ১৩০ জনকে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনার অন্তর্ভুক্ত করা, ৫,৭৮৭ জন দিব্যাঙ্গজনকে ইউডিআইডি কার্ড প্রদান ইত্যাদি সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাছাড়া ৯০ দিনের অভিযানে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বচ্ছতা অভিযান, ১৩ ১৫ আগস্ট মূর্তি প্রাঙ্গণ ও গান্ধী বেদীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি। তাছাড়া পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রমোদ ব্যানার্জি এবং মনোরমা ব্যানার্জিকেও সম্মান প্রদর্শন করা হয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *