লন্ডন, ২৫ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরপর দুটি ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ দখল করেছিল ভারতীয় মহিলা দল। শনিবার ছিল সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। একই সঙ্গে ঝুলন গোস্বামীর বিদায়ী ম্যাচও। জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে যে কোনও মূল্যে ঝুলনকে জয় উপহার দিতে চেয়েছিলেন হরমনপ্রীত কাউররা। ইংল্যান্ডকে শেষ একদিনের ম্যাচে ১৬ রানে হারিয়ে একদিকে ঝুলন গোস্বামীর বিদায়ী ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন হরমনপ্রীতরা। তেমনই দীর্ঘদিন পর ইংল্যান্ডকে তাদের ঘরের মাঠে হোয়াইট ওয়াশ করে ইতিহাস তৈরি করল ভারত। শার্লট ডিনের রান আউট নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক।
সিরিজের শেষ ম্যাচে টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। শুরুটাও ভাল হয়নি ভারতের। দ্বিতীয় ওভার থেকেই বিপর্যয় শুরু। ইংল্যান্ডের জোরে বোলার কেট ক্রসের দাপটে প্রথম থেকেই ধস। খাতা খোলার আগেই সাজঘরে শেফালি ভার্মা (০), ইয়াস্তিকা ভাটিয়া (০)। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কাউরও (৪) ব্যর্থ। তিনজনি কেট ক্রসের শিকার। হারলিন দেওয়লকে (৩) তুলে নেন ডেভিস। ৮.৪ ওভারের মধ্যে ২৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান স্মৃতি মানধানা ও দীপ্তি শর্মা। জীবনের শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাত্র ১ বল ক্রিজে স্থায়ী ছিলেন ঝুলন (০)। ৪৫.৪ ওভারে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ১০৬ বল খেলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন দীপ্তি শর্মা।
জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করেছিল ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার। অষ্টম ওভারে ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন রেনুকা সিং। তুলে নেন এমা ল্যাম্বকে (২১)। এক ওভার পরে ফেরান টমি বেউমন্টকে (৮)। ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারে ধস নামান রেনুকা। তুলে নেন সোফিয়া ডাঙ্কলে (৭), অ্যামি জোন্সকে (২৮)। অন্যদিকে অ্যালিস ক্যাপসেকে (৫) ফেরান ঝুলন গোস্বামী। সোফিয়া একলেসস্টোনকে (০) তুলে নেন রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়। তৃতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে কেট ক্রসের (১০) স্টাম্প ছিটকে দেন ঝুলন। ১১৮ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত হারের মুখে দাঁড়িয়েছিল ইংল্যান্ড।
সেখান থেকে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন শার্লট ডিন (৪৭) ও ফ্রেয়া ডেভিস (অপরাজিত ১০)। দশম উইকেটে তাঁদের জুটিতে ওঠে ৩৫। বল করার সময় শার্লট নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় স্টাম্প ভেঙে দেন দীপ্তি শর্মা। আইসিসি–র নতুন নিয়মে রান আউট শার্লট। ইংল্যান্ড শিবির বিশ্বাসই করতে চাইছিল না। ৪৩.৪ ওভারে ১৫৩ রানেই শেষ ইংল্যান্ডের ইনিংস। জীবনের শেষ ম্যাচে বল হাতে সফল ঝুলন। ৩০ রানে ২ উইকেট তুলে নেন।