মস্কো-কিয়েভ, ২২ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : সৌদি আরব এবং তুরস্কের সহায়তায় ১০ বিদেশিসহ প্রায় ৩০০ বন্দী বিনিময় করেছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন। এর মধ্যে রাশিয়া মুক্তি দিয়েছে প্রায় ২১৫ ইউক্রেনীয়কে যার বদলে মুক্তি পেয়েছে তাদের ৫৫ জন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্দী বিনিময়। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং মরক্কোরমত দেশগুলির যুদ্ধবন্দী রয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে ইউক্রেনে বন্দী হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল এবং ভাড়াটে হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছিল ৷
ইউক্রেনীয় মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচজন কমান্ডার রয়েছে যারা এই বছরের শুরুতে দক্ষিণের বন্দর শহর মারিউপোলের দীর্ঘস্থায়ী ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষার নেতৃত্ব দেয়। ইউক্রেন থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে মস্কোপন্থী ইউক্রেনীয় এবং রুশপন্থি নেতা ভিক্টর মেডভেডচুকও আছেন। এপ্রিলে দেশদ্রোহের অভিযোগে ইউক্রেন তাকে গ্রেফতার করে। ইউক্রেনে ভিক্টরকে পুটিনের অন্যতম ডানহাত বলে চিহ্নিত করা হয়।
বন্দি বিনিময়ের পর জেলেনস্কি একটি ভিডিও ভাষণে, তুর্কি রাষ্ট্রপতি রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে তার সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি স্পষ্টতই আমাদের দেশের জন্য, আমাদের সমগ্র সমাজের জন্য একটি বিজয় এবং ২১৫টি পরিবার তাদের প্রিয়জনকে নিরাপদে এবং বাড়িতে দেখতে পারে।
এদিকে, সৌদি বিদেশমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ-ইউক্রেনীয় সংকটের প্রতি মানবিক উদ্যোগের প্রতি প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যস্থতার পর সৌদি আরব ১০ জন বিদেশিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বন্দীদের বহনকারী একটি বিমান কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে এবং সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রক্রিয়া সহজতর করছে। খুব শ্রিঘই নিজ নিজ দেশে ফিরে যান। এই গোষ্ঠীতে পাঁচজন ব্রিটিশ নাগরিক, দুজন মার্কিন, একজন ক্রোয়েশীয়, একজন মরক্কোর এবং একজন সুইডিশ নাগরিক অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি মন্ত্রণালয়।