হাফলং (অসম), ২১ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : ডিমাসা ভাষায় নির্মিত সেমখর ছবি নিয়ে ইতিমধ্যে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অসমের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তথা অভিনেত্রী আইমি বরুয়া পরিচালিত সেমখর ছবিটি সমগ্র বিশ্ব জুড়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। বিভিন্ন চল্চচিত্র উৎসবে প্রশংসা কুড়িয়েছে সেমখর ছায়াছবিটি। কিন্তু ছবিটি নিয়ে এখন তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ছবিটিতে দেখানো হয়েছে, ডিমা হাসাও জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম সেমখর। ওই সেমখর গ্রামে যে সব ডিমাসা জনগোষ্ঠীর মানুষজন বসবাস করেন তাঁরা সবাই অন্যের চেয়ে আলাদা। তাঁরা ওই অঞ্চলের শিক্ষা স্বাস্থ্য এক উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও উন্নয়ন চান না। তাছাড়া এই ছবিতে দেখানো হয়েছে, গ্রামের কোনও ডিমাসা মহিলা যদি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন, তা-হলে ওই প্রসূতির মৃত্যু ঘটে। তা-হলে ওই মৃত মহিলার সঙ্গে সদ্যজাত কন্যাসন্তানকেও মেরে ফেলা হয়। এ নিয়েই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। সেমখর ছায়াছবিতে ওই বিষয়টি প্রজেকশন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করে এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন ডিমাসা মাদার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদিকা মাইফল কেম্প্রাই। এক প্রেস বিবৃতিতে মাইফল জানিয়েছেন, সেমখর ছায়াছবিতে প্রজেকশনকৃত বিষয়টি সম্পূর্ণ অসত্য। কারণ ডিমাসা জনগোষ্ঠীর মানুষ কখনও লিঙ্গ বৈষম্যে বিশ্বাস করে না। মাইফাল কেম্প্রাই বিবৃতিতে আরও বলেন, ডিমাসা ইতিহাসে আজ পর্যন্ত লিঙ্গ বৈষম্যের বিষয়টি আমরা কখনও দেখিনি বা পড়িওনি। তাই সেমখর ছবিতে যে গল্প লেখা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবি করে ডিমাসা মাদার্স অ্যাসোসিয়েশন।