আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়কদের কক্ষত্যাগ

আনেন বিজেপি বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেন তাঁরা। পাল্টা স্লোগান তুলতে শোনা গেল তৃণমূল বিধায়কদেরও। প্রতিবাদে ওয়াকআউট করে বিজেপি। গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও তোলা হয়। তা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।

বুধবার বিধানসভার অধিবেশনে শান্তিনিকেতনে শিশুহত্যার ঘটনা উঠে আসে। অধিবেশনের প্রথমার্ধের শেষ ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ প্রস্তাব পেশ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাতে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ। শিশুর মৃত্যু ঘিরে যে ভাবে রহস্য দানা বেঁধেছে, কয়েক দিন পর পড়শির বাড়ি থেকে যে ভাবে শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছে, তা নিয়ে বিবৃতি দিন মুখ্যমন্ত্রী। কী ঘটেছে, কারা দায়ী, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জানাতে হবে তাঁকে।

স্পিকার জানান, শুধুমাত্র বিবৃতি পড়তে অনুমতি দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে। এ নিয়ে কোনও আলোচনার অবকাশ নেই। এর পরই তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। বিজেপি-র বিধায়করা শিশুর ছবি নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। পাল্টা স্লোগান দেন তৃণমূল বিধায়করাও। এর পরই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বাইরেও বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা।

সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পুলিশমন্ত্রী চোরেদের বাঁচানোর জন্য বিধানসভায় এসে মিথ্যা কথা বলতে পারেন। তিনি এত ব্যস্ত মানুষ! পুলিশমন্ত্রীকে এসে বলতে বলুন। একপেশে আচরণ করেন। কথায় কর্ণপাত করেননি। আমরা ভিতরে প্রতিবাদ করেছি, বাইরেও করছি। আমাদের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং বিধায়ক অনুপ সাহার নেতৃত্বে ওই পরিবারের কাছে যাওয়া হয়েছে। কাল পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন চলবে। তার পর বিধায়কদের প্রতিনিধি দলও যাবে। ১৮ তারিখ জিডি হওয়ার পরও শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। ওসিকে গ্রেফতার এবং এসপি-কে ক্লোজ করার দাবি জানাচ্ছি। দাবি জানাচ্ছি সিবিআই তদন্তের।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *