কলকাতা, ১৭ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গেও ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার একটি বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীরা। ওই বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের আশঙ্কা নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ডেঙ্গি-দাপটে কাঁপতে পারে রাজ্য। বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠকে সেই আশঙ্কার কথাও শোনান স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। এমন পরিস্থিতিতে উৎসবের মরসুমে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে জরুরি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে—
১. ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নিয়ে যদি কোনও রোগী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন, তাহলে তা জানাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনের পোর্টালে।
২. কারও জ্বর হলে, উপসর্গ দেখা দিলে, ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া পরীক্ষা করানো আবশ্যক।
৩. এ রাজ্যে টেস্টের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্র। শনিবারের বৈঠকে বলা হয়েছে, রাজ্য টেস্টের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করবে না। কিন্তু টেস্টের খরচ মাত্রাতিরিক্ত হলে তা মেনে নেবে না স্বাস্থ্য ভবন।
৪. ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রোগীদের আনুষাঙ্গিক খরচের নামে আকাশছোঁয়া বিল যেন না হয়, সেই কথাও বলা হয়েছে এদিনের বৈঠকে।
৫. এর পাশাপাশি অনেক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধেই অভিযোগ রয়েছে রাজ্যের ডেঙ্গি প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা করা হচ্ছে না। এ বিষয়েও শনিবারের বৈঠকে সতর্ক করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম শুক্রবারই ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন। মেয়রের আশঙ্কা, ডেঙ্গি কিছুটা চরিত্র বদল করে থাকতে পারে। কারণ, সম্প্রতি ডেঙ্গি আক্রান্ত এক শিশুর শরীরে প্লেটলেটের বদলে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে দেখা গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির জন্য আগেই একপ্রস্থ নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রতিটি হাসপাতালে পৃথক ফিভার ক্লিনিক চালু করার কথা বলা হয়েছে।