নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ সেপ্টেম্বর : দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে একের পর এক মামলা চালিয়েও স্বস্তিতে নেই জমির প্রকৃত মালিক মিলন রাণী পাল ও অন্যান্য ওয়ারিশানগণ৷ প্রায় সোয়া ছয় গন্ডা জায়গা এয়ারপোর্ট থানা দখল ছাড়তে নারাজ হওয়ায় একের পর এক মামলার উত্থান৷
শেষে ত্রিপুরা হাইকোর্টের এক কড়া নির্দেশে এবং সদর দেওয়ানী আদালতের (জুনিয়র ডিভিশন) এক আদেশ মোতাবেক গত ৫ই সেপ্টেম্বর মামলার প্রকৃত মালিকদের প্রায় সোয়া ছয় গন্ডা জায়গার দখল দেওয়ার জন্যে এয়ারপোর্ট থানায় আদালত নিযুক্ত কর্মীরা কাজ শুরু করতে গেলে পর থানা চত্বরে তুমুল বাধার মুখে পড়ে৷ স্থানীয় কিছু স্বঘোষিত নেতা ও লোকজন থানার অফিসারদের সামনে আদালতের কাজে বাধা দেয়৷ সেই সময় থানার অফিসাররা আদালতের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে কোন রকম সহায়তা করেনি৷ পরে পুরো ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট ছবি সহ আদালতে জমা দেওয়া হয়৷
এ ব্যাপারে আদালতে শুনানি চলছে৷ এদিকে রাজ্য সরকার ত্রিপুরা হাইকোর্টে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করে বিগত ১৯/৪/২০২১ এর অর্ডার পুনঃবিবেচনার জন্যে৷ প্রসঙ্গতঃ ওই তারিখেই ত্রিপুরা হাইকোর্ট তার এক কড়া নির্দেশে মামলাকারীদের জমির দখল দেওয়ার নিমিত্তে সদর দেওয়ানী আদালতকে ( জুনিয়র ডিভিশন ) প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ দিয়েছিল৷ এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নিযুক্ত কর্মীরা থানার অফিসারদের চূড়ান্ত অসহযোগিতা ও স্থানীয় কিছু স্বঘোষিত নেতা ও লোকজনদের প্রবল বাধার মুখে পড়ে আদালতের আদেশ কার্যকর করতে পারেনি৷
বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের ওই রিভিউ পিটিশনের উপর শুনানি হয়৷ ত্রিপুরা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের বক্তব্যে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং এই রিভিউ পিটিশনটি আদালতের সময়ের অপচয় বলে আদেশে উল্লেখ করে৷ এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলো ত্রিপুরা হাইকোর্ট৷ পাশাপাশি ত্রিপুরা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে সতর্ক করে দেয় আদালতের রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে সহায়তা না করা আইনের অপব্যবহার৷ এই মামলাটি পরিচালনা করছেন আইনজীবী হিল্লোল লস্কর৷