দুর্গাপুর, ৮ সেপ্টম্বর (হি.স.): ফের রাতের অন্ধকারে কয়লা পাচার। পুলিশের জালে ধরা পড়ল তিনটি কয়লা বোঝাই লরি। ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের পারুলিয়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন খারিজ করে দেন।
প্রসঙ্গত, কয়লাকান্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। কেন্দ্রীয় গয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ও রাজ্যের সিআইডি অবৈধ কয়লার চোরাচালনে ধরপাকড় শুরু করেছে। ঘটনায় একাধিক কয়লা মাফিয়া ধরা পড়েছে। ঘটনার তদন্তে জোর তৎপরতা শুরু করেছে রাজ্য কেন্দ্র উভয় গয়েন্দা বিভাগ।
এমনকি খনি সংস্থা ইসিএলের বেশ কয়েকজন আধিকারিকও গ্রেফতার হয়েছে। কয়লা পাচার কাণ্ডে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার। একইসঙ্গে তদন্তকারীদের র্যাডারে রয়েছে বেশ কয়েকটি ছোট শিল্প সংস্থা।
পাশাপাশি আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ অবৈধ কয়লা পাচার রুখতে সক্রিয়। গত কয়েক মাস ধরে বেশ কিছু অবৈধ কয়লা পাচারের হদিশ উদ্ধার করেছে। বুধবার গোপনসুত্রে খবর পেয়ে দুর্গাপুর পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পারুলিয়ায় হানা দেয় পুলিশ। গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে কয়লা বোঝাই ৩ টি লরি বাজেয়াপ্ত করে। ঘটনায় চালকসহ চারজন কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়লা খনি অঞ্চল থেকে ওই কয়লা বোঝাই লরি গুলি আসছিলো দুর্গাপুরের দিকে। অনুমান শহর লাগোয়া কোন লিঙ্ক রোড দিয়ে হাইওয়ে ধরার চেষ্টায় ছিল লরিগুলি। পুলিশ খবর পাওয়া মাত্র অভিযান চালিয়ে পারুলিয়া এলাকা থেকে
ওই তিনটি গাড়ি আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি লরিতে ৭০ টন কয়লা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ওই কয়লার বৈধ নথিপত্র না দেখাতে পারেনি লরি চালকরা। তাই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। লরিগুলি কোথা থেকে বোঝাই হয়েছিল। কোথায় যাচ্ছিল। তার তদন্ত শুরু হয়েছে।’ উল্লেখ্য, গত আগষ্টের শেষের দিকে দুর্গাপুর-ফরিদপুর থানার সরপি এলাকায় সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর আড়ালে অবৈধ কয়লা কারবারের হদিশ পায় পুলিশ। ঘটনায় সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর মালিশ যোগেশ রাজদকে গ্রেফতার করে। এবং বাজেয়াপ্ত করে ১০ মেট্রিক টন অবৈধ কয়লা। কয়েকদিন আগে কাঁকসার বাঁশকোপায় অবৈধ কয়লা বোঝাই তিনটি লরি ধরা পড়ে পুলিশের জালে। ঘটনায় দুজন চালক গ্রেফতার হয়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আসানসোলের সালানপুরে একটি বেসরকারী ফ্যাক্টরীর কয়লা পাচার চক্রের হদিশ পায়। যেখান থেকে ওইসব কয়লা পাচার হচ্ছিল। সেখানে কয়লা ছাড়াও জেসিবি মেশিন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তারপর এদিনের ঘটনায় আবারও নতুন করে কয়লা পাচারের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
যদিও পুলিশ জানিয়েছে,” ধৃতদের হেপাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”