কলকাতা, ৪ সেপ্টেম্বর (হি.স. ) : চিটফান্ডের শিকড় খুঁজতে রবিবাসরীয় সকালে কাঁচরাপাড়ার বিভিন্ন প্রান্তে হানা দেয় সিবিআই। এদিন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা । কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পৈতৃক বাড়িতেও চলে তল্লাশি । হালিশহর ও বীজপুর মিলিয়ে মোট ছয়টি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। যা নিয়ে সিবিআইকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় । রবিবার তিনি বলেন, “সিবিআই সিবিআইয়ের কাজ করছে। আমরা আমাদের কাজ করব। সিবিআই এখনও পর্যন্ত কিছু প্রমাণ করতে পারেনি।”
চিটফান্ড মামলায় আরও তৎপর সিবিআই। হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি গ্রেফতারির পরই এবার সিবিআইয়ের নজরে তাঁর ঘনিষ্ঠরা।রবিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ হালিশহর, কাঁচরাপাড়ার বিভিন্ন প্রান্তে সিবিআইয়ের মোট ছ’টি দল পৌঁছয়। বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীর জেটিয়ার পৈতৃক বাড়িতে শুরু হয় তল্লাশি। বিধায়কের অফিসেও হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। সুবোধ এবং কমল দুই ভাই। জানা গিয়েছে, বীজপুরের বিধায়কের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল রাজু সাহানির। দীর্ঘদিনের ভাল বন্ধু দু’জনে। সে কারণেই রাজু গ্রেফতারির পর সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে তল্লাশি চলছে বলেই দাবি খোদ বীজপুরের বিধায়কের। তবে তিনি কোনওভাবেই চিটফান্ড মামলার সঙ্গে যুক্ত নন বলেও দাবি তাঁর।
এ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, “ সিবিআই সিবিআইয়ের কাজ করছে। আমরা আমাদের কাজ করব। সিবিআই এখনও পর্যন্ত কিছু প্রমাণ করতে পারেনি। এখানে ওখানে তল্লাশি করছে। একে- তাকে গ্রেফতার করছে। পরে প্রমাণ হবে কে দোষী না দোষী। বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারে থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিবিআই-ইডিকে ব্যবহার করছে। যে দোষ করেছে সে শাস্তি পাবে। যে দোষ করেনি সে মুক্ত হবে। মানুষ আমাদের সঙ্গেই থাকবে।’’