CPIM:বর্ধমানে সিপিএম দফতরে ফের হামলা, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের

পূর্ব বর্ধমান, ২ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : ফের সিপিএমের দফতরে হামলার অভিযোগ উঠল বর্ধমানে। এ বারও অভিযোগের নিশানায় শাসকদল।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বর্ধমান শহরের নীলপুর এলাকায় সিপিএমের ‘২ নম্বর এরিয়া পার্টি অফিসে’ হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। দলীয় কার্যালয়ের বাইরে শহিদ বেদিতে ভাঙচুরের পাশাপাশি অফিসার তালা ভেঙে অন্য তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে শুক্রবার সিপিএমের স্থানীয় নেতৃত্ব জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা দফতরের জানালা-দরজা ভাঙচুরের চেষ্টাও চালায়।

এর আগে বুধবার রাতে হাটুদেওয়ান এলাকাতেও একটি সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। জেলা সিপিএম নেতা অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘৩১ আগস্ট বামেদের আইন অমান্য আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছিল বর্ধমানের জেলাশাসকের অফিসের সামনে। তার পর থেকেই তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে আমাদের পার্টি অফিসে হামলা চালাচ্ছে।”

সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, ‘‘তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসন যৌথভাবে আক্রমণ করছে। আসলে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই আমাদের পার্টি অফিসে হামলা করছে।’’

তৃণমূল পক্ষ থেকে সিপিএমের দফতরে হামলার অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছে। জেলা তৃণমুলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘কোনও পার্টি অফিসে হামলার ঘটনা ঠিক নয়। তবে এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। সিপিএম নিজেরাই এই কাজ করতে পারে। ৩১ আগস্ট সিপিএম বর্ধমানে তাণ্ডব চালিয়ে বিশ্ববাংলা লোগো থেকে শুরু করে বিধায়কের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। ভাঙচুর করেছে। তবুও দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে আমরা শান্ত রয়েছি।’’

প্রসঙ্গত, বুধবার সিপিএমের দলীয় কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বর্ধমান। ওই কাণ্ডে ধৃতদের বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর করা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশের উপর বল প্রয়োগ করা এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা ইত্যাদি অভিযোগ আনা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *