লন্ডন, ২ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : পার্টিগেট কেলেঙ্কারি জেরে নির্বাচন শেষে ৫ সেপ্টেম্বর নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। তার আগে একের পর এক সমস্যায় চাপের মুখে পড়েছে ব্রিটেনের অর্থনীতি। এহেন ডামাডোলে সমস্যা আরও বাড়িয়েছে সরকারি শ্রমিক সংগঠন। তাদের হুঁশিয়ারি, হবু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর যেদিন মসনদে বসবেন, সেদিনই ধর্মঘট শুরু করা হবে।
তারপরের দিনই রানি এলিজাবেথের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেবেন কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শেষ পাওয়া খবরের মতে, মসনদের দৌড়ে প্রাক্তন চ্যান্সেলর ঋষি সুনাককে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছেন বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস। কিন্তু মসনদে যেই বসুন না কেন, শুরুতেই আকাশে মেঘ ঘনিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বেতনবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, সুরক্ষা এবং অন্যান্য দাবিতে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে সরকারি ট্রেড ইউনিয়নগুলি। ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর ধর্মঘট চলবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে তারা। সাফাইকর্মী, নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে হাজার হাজার সরকারি কর্মীরা হরতালে শামিল হবেন। ফলে বাণিজ্য, শক্তি ও শিল্প দফতরের কাজ প্রভাবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
‘পাবলিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল সার্ভিসেস ইউনিয়ন’ নামের শ্রমিক সংগঠনটি জানিয়েছে, এই ধর্মঘটের মাধ্যমে কর্মীদের ন্যায্য দাবি সরকারের কাছে পৌছে দেওয়া হবে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মার্ক সেরওটকা বলেন, “যে হারে কস্ট অফ লিভিং বা জীবনধারণের খরচ বাড়ছে, সেই সংকট নিরসনে সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না।” বিশ্লেষকদের মতে, মূল্যবৃদ্ধির আবহে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বেতন বৃদ্ধি ও আরও উন্নত সুযোগ সুবিধার দাবি জানাচ্ছে তারা। কিন্তু সমস্ত দাবি মানলে রাজকোষে যে পরিমাণ চাপ পড়বে তা সামাল দেওয়ায় চাট্টিখনি কথা নয়। সবমিলিয়ে, হবু প্রধানমন্ত্রীর কাজ অনেকটাই জটিল।