আগরতলা, ২৯ আগস্ট (হি. স.) : বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার জনসভায় যোগ দিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। পৃথক স্থানে দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। আক্রান্তদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগের কাঠগড়ায় রয়েছে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মনের দল তিপরা মথা। এ-বিষয়ে বিজেপি প্রদেশ মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, পাহাড়ে একচ্ছত্র আধিপত্যের দাবিদার দলের কাজকর্মে মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত। সময় আসলে মানুষই তার যোগ্য জবাব দেবেন।
প্রসঙ্গত, আজ খুমুলুঙয়ে বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জনজাতি অংশের মানুষ ওই জনসভায় অংশ নিয়েছেন। কিন্তু, দুয়েকটি স্থানে দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন।
আজ সিপাহিজলা জেলায় প্রমোদনগর মহারাম বাজারে বিজেপির সমর্থকদের গাড়িতে হামলা হয়েছে। তাতে, বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক আক্রান্ত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বিশ্রামগঞ্জ প্রাথমিক হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কয়েকজনকে জি বি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন হাসপাতালে অন্যান্যদের চিকিত্সা চলছে। ওই ঘটনায় এলাকাজুড়ে পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে। প্রমোদনগর, হীরাপুর, মহারাম বাজার এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় অভিযোগের কাঠগড়ায় তিপরা মথা।
এদিকে, মুঙ্গিয়াকামী থানাধীন নমঞ্জয় বাড়ি এলাকায় দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় সাতজন বিজেপি জনজাতি মোর্চার কার্যকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা খুমুলুঙয়ে জনসভায় অংশ নেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। তাঁদের গাড়িও ভাংচুর করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতির জনসভায় অংশ নিতে যাওয়ার সময় নমঞ্জয় পাড়া এলাকায় দুষ্কৃতিকারীর আক্রমণ করেছিল। দুষ্কৃতিকারীরা গাড়ি ভাংচুর করেছে। বিজেপি জনজাতি মোর্চার কার্যকর্তারা কোনক্রমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। কিন্তু, দুষ্কৃতী হামলায় মহিলা সহ সাতজন কার্যকর্তা আহত হয়েছেন।
বিজেপি আশারামবাড়ী মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক ফলেন দেববর্মা, একারণ দেববর্মা, রাধারানী দেববর্মা, বিমলা দেববর্মা, তপন দেববর্মা, পীযূষ দেববর্মা এবং এম.বি দেববর্মা দুষ্কৃতী হামলায় আহত হয়েছেন। তাঁরা বর্তমানে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যান খোয়াই জেলা পুলিশ সুপার। পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে ঠিকই। কিন্তু, পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠার আশঙ্কা করা হচ্ছে।ওই ঘটনায় বিজেপি প্রদেশ মুখপাত্র নবেন্দু বলেন, পাহাড়ে একচ্ছত্র আধিপত্যের দাবিদার দলের কাজে মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা বিজেপির প্রতি মানুষের জন সমর্থন দেখে ভয় পেয়ে গেছেন। তাই, হামলা হুজ্জুতি চালিয়েছে। সময় আসলে মানুষ তাঁদের যোগ্য জবাব দেবেন। নাম না করে এদিন তিনি তিপরা মথাকে বিঁধেছেন।

