অসমে শ্রদ্ধা সহকারে পালিত শ্ৰীমন্ত শংকরদেবের ৪৫৪-তম তিরোধান তিথি, মহাপুরুষের গুনানুকীৰ্তনে অংশগ্রহণ মুখ্যমন্ত্রীর

গুয়াহাটি, ২৯ আগস্ট (হি.স.) : আজ সোমবার গোটা অসম জগদগুরু শ্ৰীমন্ত শংকরদেবের ৪৫৪-তম তিরোধান তিথি পালন করছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্ৰান্তে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত সব সত্র ও নামঘরে ভক্তপ্ৰাণ জনতা মহপুরুষের গুনানুকীৰ্তনে মাতাল।

আজ সকালে নিজের সব সামাজিক মাধ্যমে দু-বার জগদগুরু শ্ৰীমন্ত শংকরদেবকে স্মরণ করে তাঁকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ে জগতের মঙ্গল কমনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তিনি লিখেছেন, ‘সংস্কৃতি, সাহিত্য ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের মাধ্যমে অসমের জাতীয় জীবনের মূলাধার গুরুজনা মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শংকরদেবের পবিত্র তিরোভাব তিথি উপলক্ষ্যে আমি আজ গুয়াহাটির হেঙেরাবাড়িতে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সদর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নাম-কীর্তনে অংশ নিয়েছি। এই অনুষ্ঠানে বিজেপির প্রদেশ সভাপতি ভবেশ কলিতা, মন্ত্রিসভার সহকর্মী জয়ন্তমল্ল বারুয়া, সাংসদ পল্লবলোচন দাস, রাজ্যসভার সাংসদ পবিত্র মার্ঘেরিটা ছাড়াও দলের বেশ কয়কজন পদাধিকারী উপস্থিত ছিলেন।’

পরের বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘ভক্তিমার্গের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক উত্তরণকে সারথি করে যে গুরুদেব বৃহত্তর অসমীয়া সমাজকে বৈচিত্র্য ও একতার নতুন সুতোয় গেঁথেছেন, তিনি পরমারাধ্য জগদগুরু শ্রীমন্ত শংকরদেব। কীর্তন-দশমের অময়া বাণী, বরগীত-নাট্যের অমিয়া সুর, খোল-তালের গুঞ্জরিত ধ্বনি আজও প্রতিটি বাড়ি ও নামঘরে তাঁরা নামের প্রতিধ্বনি তুলে। মহাপুরুষ গুরুজনার আজ বৈকুণ্ঠ প্রয়াণ তিথিতে রাজ্যবাসীর কুশল-মঙ্গল কামনায় তাঁর প্রতি শত-সহস্র প্রণাম ও প্রণতি জানিয়েছি।’ এর পর গুরুজনার প্রতি প্রণাম জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘তোমার করুণা-কণা পড়ে যেন জীবনে,/ভক্তির অঞ্জলি দেই সাদরে চরণে।’

এদিকে গোলাঘাটে শ্ৰীশ্ৰী আঠখেলিয়া নামঘরেও আজ ভোর থেকে ভক্তপ্ৰাণ মানুষ মহপুরুষের গুনানুকীৰ্তনে মজে আছেন৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্ৰান্ত থেকে ভক্তকুল এসে নামঘরে প্রদীপ প্ৰজ্বলন করে গুরুজনার পুজোৰ্চনা করছেন৷ এছাড়া নামঘরে নাগারা-নাম গেয়ে এক আধ্যাত্মিক পরিবেশ গড়ে তুলেছেন ভক্তকুল৷ শ্ৰীশ্ৰী আঠখেলিয়া নামঘরে মহাপুরুষ শ্ৰীমন্ত শংকরদেবের তিরোধান তিথির দিন আজ পুজোর্চনা করেছেন কৃষিমন্ত্ৰী অতুল বরাও৷ তিনিও প্রদীপ প্ৰজ্বলন করে রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনা করেছেন।

অন্যদিকে ভক্তিরস অমিয়া সুর গুঞ্জিত হচ্ছে রাজ্যের বস্ত্ৰনগরী শুয়ালকুচির প্ৰতিটি নামঘর ও সত্ৰে। বিশেষ করে শুয়ালকুচির ঐতিহাসিক তথা উত্তর অসমের একমাত্ৰ উদাসীন সত্ৰ ঈশ্বর শ্ৰীশ্ৰী হাটি সত্ৰে দিনজোড়া কার্যসূচির মাধ্যমে পালন করা হচ্ছে গুরুজনার ৫৫৪-তম তিরোধান তিথি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *